নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় বিকল্প নেশার দিকে ছুঁটছেন কিশোরগঞ্জে মাদকসেবিরা

 মোঃ শামীম হোসেন বাবু কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
  সারা দেশব্যাপি মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাদক ব্যাবসায়ী  ও মাদক সেবিরা ছুটছেন অসাধু ওষুধ ফার্মেসিগুলোতে।  এসব দোকানে কম মুল্যে ও সহজে মাদকসেবিরা পাচ্ছে নেশা জাতীয় দ্রব্য।  অনেক মাদকসেবি নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত মনে করে ভিড় জমাচ্ছেন এসব ফার্মেসি গুলোতে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কোন কার্যকর ভুমিকা রাখছেননা বলে অভিযোগ উঠেছে।
কিশোরগঞ্জ থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষনার প্রত্যয়ে  স্টেডিয়াম মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপজেলার সকল মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবিদের তালিকা করে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কর্মকান্ড হাতে নিয়েছিলেন তৎকালিন থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ। তখন থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাদক ব্যাবসায়ীরা গাঁঢাকা দেওয়ার কারনে আবার অনেকে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করার কারনে মাদকসেবিরা বিকল্প নেশার দিকে ছুটছেন। কিশোরগঞ্জ থানা সুত্র আরো জানায়, মাদকমুক্ত ঘোষনার প্রত্যয়ে সমাবেশ হওয়ার পরেও  ২০১৮ সালে থানায় মাদকের ৯ টি মামলা হয় এবং গত ১১ জুলাই মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গেরগাড়ী থেকে বুলবুল ইসলাম নামে এক গাঁজা ব্যবসায়ী আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
একাধিক মাদকসেবি জানান, সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার কারনে মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারছেনা মাদক সেবি ও বিক্রেতারা। তাই অধিকাংশ মাদকসেবি বিকল্প নেশার দিকে ছুটছেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা এক শ্রেণীর অসাধূ ফার্মেসী বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কোন প্রকার ঝুঁকি  ছাড়া মোটা অংকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে যাচ্ছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ঘুমের ওষুধ। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ফার্মেসীতে কেনা যাচ্ছে প্যাথেড্রিন থেকে শুরু করে এ জাতীয় ওষুধ ও উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ ।
বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন কোন ফার্মেসীর মালিকের কাছে এসব ওষুধ বিক্রি করার নিয়ম না থাকলেও তারা সরকারী নীতিমালার কোন তোয়াক্কা না করে লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসির মালিকদের কাছে এব ওষুধ বিক্রি করছেন। আর মাদকসেবিরা ফার্মেসী থেকে মাদকদ্রব্য তৈরীর প্রধান উপকরন হিসাবে কফ কাশির জন্য ব্যবহৃত সিরাপ সংগ্রহ করে  সিরাপের সাথে ঘুমের ওষুধ, ক্যালসিয়াম, সিভিটসহ বিভিন্ন উপকরন মিশিয়ে তৈরী করছেন এক ধরনের মাদক যার নাম দেয়া হয়েছে ঝাক্কি বা মিক্য্রার। বর্তমানে একজন মাদকসেবি  ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকার মধ্যে চাহিদামত মাদকদ্রব্যের উপকরন সংগ্রহ করতে পারছেন।  সংগ্রহিত এক বোতল  ঝাক্কি বা মিক্য্রার দুই থেকে তিনজন মাদকসেবি সেবন করতে পারেন।  প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ওষুধ ব্যবসার আড়ালে বিক্রি করছেন মাদকের উপকরন ঘুমের ওষুধ ও কাশির সিরাপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মফিজুল হক   অসাধু ফার্মেন্সী গুলোকে মাদকের উপকরন বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে  জানান, আমরা ইতিপুর্বে বিষয়টি জেলা মিটিংয়ে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, যে সব অসাধু ওষুধ ফার্মেন্সীর মালিক মাদকের উপকরন বিক্রি করছে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2101590167557044565

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item