যেখানে অনিয়মই নিয়ম- ডোমার উপজেলা রির্সোস সেন্টার

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার-ঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা রির্সোস সেন্টারে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।হাজিরা খাতায় অগ্রীম স্বাক্ষর করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস ফাকিঁ দিচ্ছেন।যিনি প্রতিষ্টানটিকে রক্ষা করবেন সেই তিনিই ভক্ষকের ভুমিকায় ।স্বয়ং ইন্সট্রাক্টরই অগ্রিম ¯াা^ক্ষরে জড়িত ।এতে ব্যহত হচ্ছে সরকারের সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্্রম ।দানা বাধছে শিক্ষকদের অসন্তোষ ।
সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে , হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস ফাকিঁ দিচ্ছেন ,অভিযোগ থাকায়  প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিক গেলে দেখা যায় ,উপজেলা রির্সোস সেন্টারে চলতি মাসে ১১ তারিখে  হাজিরা খাতায়  ১২ তারিখের অগ্রিম স্বাক্ষর করেছেন স্বয়ং ইন্সট্রাক্টর  আকরাম হোসেন।সহকারী ইন্সট্রাক্টর আব্দুস সবুরের ৮,৯,১০,১১ তারিখের স্বাক্ষর নাই ,পাওয়া যায়নি তাকে,সাংবাদিক আসার খবরে বিকালে আসেন অফিসে।২০১৭-১৮ অর্থ বছরে “মার্কিং এন্ড টেষ্ট এডমিনিসট্্েরশন ”প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থীদের রেজিট্্েরশন,উপকরন, সামগ্রী বিতরনে পাচঁটি ব্যাচে প্রশিক্ষনার্থীদের ফোল্ডার দেওয়া হয়নি ।জনপ্রতি ৩০ টাকা ,প্রতি ব্যাচে ৩০ জন,প্রতি ব্যাচে ৯০০ টাকার ফোল্ডার দেওয়া হয়নি । পাচঁটি ব্যাচে মোট চার হাজার ৫ শত টাকার ফোল্ডার  দেওয়া হয়নি  ।যা ব্যয় দেখানো হয়েছে ।ফেরত পাঠানো হয়নি ষংশ্লিষ্ট দপ্তরে ।
প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংগীত বিষয়ে পারদর্শী ,দক্ষ, ও অনুর্ধ্ব ৪৫ বছর বয়সী শিক্ষকগণকে অগ্রাধিকার প্রদান  করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না  ।্ ৫০ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে । চলতি অর্থ বছরে ব্যাচ নং ৫ এ বড়গাছা উত্তর ডাংগা পাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহমান , ৬নং ব্যাচে আমবাড়ী আদর্শ সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বজলার রহমান, সোনারায় দৃষ্টিনন্দন সঃ প্রা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুধীর চন্দ্র রায় , মৌজা বামুনিয়া উত্তর পাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক  আব্দুর রাজ্জাক,দক্ষিন চিকনমাটি  কর্ণময়ী  সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের হির¤œয়ী রায়,চিলাহাটি বালিকা সঃপ্রাঃবিদ্যালয়ের আফরোজা বেগম ,শহীদ স্মৃতি মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের  আরজুমান বানুর ক্ষেত্রে  এ নিয়ম মানা হয়নি ।
বিষয় ভিত্তিক (বাংলা) প্রশিক্ষণে  কোন অবস্থায়তেই  একটি বিদ্যালয় হতে একই ব্যাচে একাধিক শিক্ষককে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না ।সোনারায় দৃষ্টিনন্দন  ও শহীদ স্মৃতি মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয়নি ।
পশ্চিম চিকনমাটি  সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে  চার শিক্ষকের মধ্যে একজন শিক্ষক সংগীতে প্রশিক্ষন পাওয়ার কথা থাকলেও আরিফুজ্জামান ও দ্বীপ্তি অধিকারী নামে দুজন শিক্ষক প্রশিক্ষণ পেয়েছে ।
শহীদ স্মৃতি মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে সংগীতে ৫ জনের বিপরীতে ১ জন হিসাবে তিন প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা থাকলেও একজন প্রশিক্ষক সহ সাতজন প্রশিক্ষণ পেয়েছে ।
উপজেলা  প্রাথমিক শিক্ষা  কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের তালিকা প্রণয়নের নিয়ম থাকলেও  সন্ধ্যার পর ইন্সট্রাক্টর আকরাম হোসেন ও নিরাপত্তা প্রহরী রেজাউল করিম আগের রাতে তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের আগের রাতেই ফোন করে পরে তাদের( উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়) নিকট থেকে অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে ।
২০১৭ -১৮ অর্থ বছরের ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণে  ম্যানুয়াল অনুসারে  নবনিযুক্ত  পুল প্যানেল ও মুক্তিযোদ্ধা  কোটার নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কথা স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও ২০১০ -১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । ইন্ডাকশন ব্যাচ নং (৩) এ শালমারা সপ্রাবি থেকে  কবিরাম রায়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ।ম্যানুয়ালে উল্লেখিত কোন শর্ত তার ছিল না ।ঐ শিক্ষক একদিন পর প্রশিক্ষণে যোগদান করেও পুরো সাতদিনের ভাতা গ্রহন করেন ।
এ ছাড়া আরও জানা যায় ,ইন্সট্রাক্টর আকরাম হোসেন  অফিস চলা কালিন সময়ে শিক্ষকদের নিকট ঔষধ বিক্রি করে ।ক্রেতা শিক্ষকদের বার বার প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
এ ছাড়া গত রমজান মাসে লিডারশীপ প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষকদের নিকট হতে অতিরিক্ত ৬০ টাকা কর্তন করা হয় যার কোনব্যয় নেই ।

নিরাপত্তা প্রহরী রেজাউল করিম অধিকাংশ রাতে দায়িত্ব পালন না করে বাড়ীতে অবস্থান করেন ।
এ ব্যাপারে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) এর ইন্সট্রাক্টর মো ঃ আকরাম হোসেন (চলতি দায়িত্ব )ফোল্ডার না দেওয়া  ও অগ্রীম স্বাক্ষরের বিষয়ে বলেন  জানান, অগ্রীশ স্বাক্ষর ভুলক্রমে করা হয়েছে । ফোল্ডার বিষয়ে তিনি জানান,প্রথম ব্যাচে ফোল্ডার না দেওয়ার কারনে পরে দিলে সমালোচনা হতে পারে ,এই জন্য পরের ব্যাচগুলিতে দেওয়া হয়নি ,এখন প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফোল্ডার দেওয়া হবে । পশ্চিম চিকনমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন বেশী ও শহীদ স্মৃতি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতে  দু- জন বেশী প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন । সহকারী শিক্ষা অফিসারা ব্যস্ত থাকলে আমরা তালিকা প্রণয়ন করি ।নিরাপত্তা প্রহরী নিয়মিত না থাকার কথা স্বীকার করেন । (উল্লেখ্য সম্প্রতি  উপজেলা ভুমি অফিস , সাব - রেজিট্রার অফিস চুরি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে ) । তিনি আরো জানান, শুনেছি আগে নিরাপত্তা প্রহরীর প্রভাব ছিল ।তাকে টাকা দিয়ে তালিকায় নাম উঠানো হতো ।এখন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলার পিটিআই  সুপারিনটেনডেন্ট মাহমুদা বেগম জানান , এ রকম অপরাধ করলে অবশ্যই ধরবেন ।আমার জানা থাকলো এর পর ধরবো ।আমি ওদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ দিবো ।তদন্ত করে দেখব সব

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3678944566056315241

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item