সৈয়দপুরে প্লাইউড কারখানায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু ॥ লাশ গুম করার অপচেষ্টা


তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

সৈয়দপুরে একটি প্লাইউড কারখানায় গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। আজ(বুধবার) সকালে শহরের উপকন্ঠে ধলাগাছ এলাকায় অবস্থিত আহমেদ প্লাইউড কারখানার ইউনিট - ২ এর ভেতরে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত নারী শ্রমিকের নাম  ফেরদৌসী (৪০)। তিনি শহরের ওয়াপদা গেট এলাকার বিদ্যূৎ বিভাগের লাইনম্যান নুর ইসলামের স্ত্রী। তাঁর দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে।
কারখানার কর্মরত শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের  উপকেন্ঠ নীলফামারী - সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের ধলাগাছ এলাকায় অবস্থিত আহমেদ প্লাইউড কারখানায় প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। আর একটি ফপলিক গাড়ি (মাল পরিবহন করা ছোট গাড়ী)  দিয়ে ওই প্লাইউড কারখানায় উৎপাদিত প্লাইউড বহন করে কারখানার ভেতরই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেয়া হচ্ছিল। এ সময় বিশাল কারখানাটির ভেতরে ফপলিক গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নারী শ্রমিক ফৌরদৌসী  (৪০) ঘটনাস্থলে মারা যান। গাড়ির চাপায় তাঁর মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মগজ বেরিয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর কারখানার মালিক নিহত নারী শ্রমিকের লাশ গুম করার অপচেষ্টা চালায়। কারখানার মালিক কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকদের কারখানার ভেতরে আটকে রেখে কারাখানাটির প্রধান ফটকসহ সবগুলো দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। ফলে সকালে এ ঘটনাটি ঘটলেও দুপুরে পর তা জনস্ম¥ূখে প্রকাশ পায়। পরে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে লাশ দেখতে চাইলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। এ সময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী কারখানার প্রধান ফটকের গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন কারখানা ভবনের বেশ কিছু গ্লাস ভাংচুর করাসহ দিনাজপুর - রংপুর মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধের সৃষ্টি করেন। এতে করে ওই মহাসড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন আটকা পড়ে।
 এ খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়েও বিক্ষুদ্ধ লোকজনের করা সড়ক অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুদ্ধ লোকজনকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে নিহত নারী শ্রমিক ফেরদৌসী’র লাশ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানায় নেওয়া হয়। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত লাশটি  সৈয়দপুর থানা চত্বরে রাখা ছিল।
 সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1619989341660969031

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item