সৈয়দপুরের আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় দুই আসামী গেফতার

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮ এপ্রিল॥
নীলফামারীর সৈয়দপুরে আলোচিত জোড়া খুনের মামলার আসামী দুই সহোদরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে গ্রেফতারের পর আজ বুধবার দুপুরে নীলফামারী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
গ্রেফতার হওয়া ওই দুই সহোদর হলেন, শিবলী সাদিক ওরফে প্রদীপ (৩০), মো. সাগর (২৪)। তারা দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনপাড়া গ্রামের কলিমদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর দুপুরের দিকে সৈয়দপুর উপজেলা জসিমবাজার দোলাপাড়া গ্রামের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে জোড়া খুনের শিকার দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ মামুন (৩৫) ও তার কথিত স্ত্রী একই উপজেলার পরাভিটা গ্রামের মহিদুল ইসলামের মেয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পড়–য়া ছাত্রী মিনতারীন সাথির (২৩) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় মামুনুর রশীদের বড়ভাই আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সৈয়দপুর উপজেলার পোড়ারহাট তেলিপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নূর মোস্তফা লাবু ওরফে সুমনকে (২৫) গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে খুনের ঘটনায় জড়িত অপর দুই আসামী শিবলী সাদিক ওরফে প্রদীপ (৩০), ও তার ভাই মো. সাগরকে (২৪) ঢাকার ডেমরা এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাতে গ্রেফতার করা হয়। খুনের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ধারালো অস্ত্র ও খুনের শিকার মামুনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীরা খুনের ঘটনা ঘটিয়ে ওই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আজ বুধবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদেরকে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, জসিমবাজার এলাকায় জনৈক নাদিয়া আক্তারের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শিবলী সাদিক ওরফে প্রদীপ ও তার ভাই মো. সাগর। জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ মামুন তার কথিত স্ত্রী সাথিকে নিয়ে ওই বাড়িতে এসে মাঝে মধ্যে রাত্রী যাপন করতেন। সে সুবাদে বাড়িভাড়াসহ শিবলী সাদিকের পরিবারের সকল খরচ বহন করতেন মামুন। একইভাবে রাত্রি যাপনের পর ঘটনার দিন সকালে মামুন তার কথিত স্ত্রী সাথিকে বাসায় রেখে বাজার করতে যান। এরই মধ্যে মামুনের কাছ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা আদায়ের জন্য ওই তিন আসামী মিলে সাথিকে জিম্মি করার চেষ্টা করে। তাতে সাথি চিৎকার করতে থাকলে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর বিছানায় চাদর দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে। এরপর মামুন বাসায় ফিরলে তাকেও জিম্মি করে ওই ত্রিশ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় মামুনকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে বাসায় রাখা মামুনের মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় আসামীরা।
পুলিশ সুপার বলেন, তাদেরকে  গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন আসামীরা। ইতিমধ্যে ওই মামলাটির যথেষ্ট তথ্য উপাত্ব সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মামুন দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার নূতনবাজার এলাকার মৃত. মনছুর আলীর ছেলে। তিনি ওই উপজেলা বিএনপির যগ্ম সাধারণ সম্পাদক। দিনাজপুর জেলা জ্বালানী তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধরণ সম্পাদক চিলেন। বিবাহিত জীবনে তার স্ত্রী ও তিন কণ্যা সন্তান রয়েছে। কথিত স্ত্রী সাথি মামুনের মামাত বোন। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3626164773977202406

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item