নীলফামারীর পল্লীতে শিশু ধর্ষন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২ মার্চ॥ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী(৭) ধর্ষনের শিকার হয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের সীমান্তপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পনে ৯টায় শিশুকে প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিন রাত ১১টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুটি ওই গ্রামের দিনমজুর ....চন্দ্র রায় ও .......রানী রায়ের শিশু সন্তান।
অভিযোগ উঠেছে  আব্দুল খালেকের ঘর জামাই শুকুর আলী (৪৫) এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গেলেও আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের মন্দিরে দোল পূজার উৎসবে প্রসাদ খেয়ে ওই শিশুটি বাড়ির দিকে আসছিল। পথে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী কেরাণীপাড়া গ্রামের ট্রাক্টর চালক শুকুর আলী (৪৫) তার বাড়ির অদুরে একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর গোপন অঙ্গদিয়ে রক্ত ঝড়া অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে।
 দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় শিশুটির মা কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। আর বাবা কাজ করেন জয়পুর হাটের একটি ইটভাটায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই শিশু একাই মন্দিরে যায়।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমি কাজ করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাড়িতে এসে তাকে (মেয়ে) বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখি এবং পরনের কাপড়ে রক্ত দেখতে পাই। এসময় জিজ্ঞেস করলে শুকুর আলী তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। মেয়ের কান্না এবং তার রক্ত ঝড়ার গতি দেখে আমিও কাঁদতে থাকি। আমাদের কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মেয়েকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়।’
প্রতিবেশী প্রতিমা রায় (২৫) অন্যবালা রায় (৩৫) কাজলী রানীসহ (২৮) অনেকে বলেন,‘আমরা মা-মেয়ের কান্না শুনে বাড়িতে আসি। এসময় মেয়েটির কাছে ঘটনা জানতে চাইলে শুকুর আলী তাকে ধর্ষণ করেছে বলে আমাদেরকে জানায়। মেয়ের গোপন অঙ্গ দিয়ে অঝোরে রক্তঝড়া দেখে আমরা তাকে সন্ধ্যার দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শুকুর আলী পলাতক রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার জানান।
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভীর রহমান শাহ্ বলেন, ‘অধিক রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার বলেন, আজ ‘শুক্রবার বিকালে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে মেয়েটির মায়ের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধর্ষক শুকুর আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।’

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4465319939296800068

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item