কুড়িগ্রামে বন্ধ হচ্ছে না পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের দালালদের দৌরাত্ম
https://www.obolokon24.com/2018/03/kurigram.html
হাফিজুুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় নুতুন লাইন নির্মাণে সিন্ডিকেট দালাল এবং টেকনেশিয়ানরা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা । প্রাথমিক জরিপ, পরিমাপ, খুটি, মিটারসহ বিভিন্ন ধাপে প্রতি মিটারে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বর্তমানে নাগেশ্বরীতে শতভাগ নতুন লাইন নির্মাণাধীন রয়েছে। এ সুযোগে খুটি আনা এবং লাইন নির্মাণে ব্যাপক বাণিজ্য শুরু করেছে দালাল চক্র। লিফলেট, পোষ্টার, মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব দালাল এবং টেকনিশিয়ানদের দৌরাত্ব। তারা বিভিন্ন কায়দায় লাইন নির্মাণে জরিপ এবং পরিমাপের সময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগবে বলে স্থান ভেদে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা মিটার প্রতি গ্রাহকদের সাথে চুক্তি করে। পরে পরিমাপের সময় থেকে সংযোগ পর্যন্ত এই টাকা তুলে নেয় গ্রাহকের কাছ থেকে । এসব টাকা উত্তোলনের সাথে বিদ্যুতের কিছু টেকনেশিয়ান, অসৎ কর্মকতা, প্রকৌশলী জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জরিপ এবং লাইন পরিমাপে একেক প্রকৌশলীকে দিন প্রতি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। এ টাকা দালাল মারফত যায় তাদের পকেটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার টেকনিক্যাল মোড় ও মাষ্টারপাড়া নামক দুটি লটে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে দালালী করছে মহেন্দ্র নামের এক টেকনিশিয়ান । ইতোমধ্যে গ্রাহক প্রতি ১৫শ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ এই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে । এখানে গ্রাহক সংখ্যা ৫ শতাধিক। এখন খুটি আনার জন্য আরও ২ হাজার করে টাকার তাগাদা দিচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলীম, জামাল উদ্দিন বলেন, ২ বছর আগে মহেন্দ্র আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে দুটি লট থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। এখন আবারও খুটি আনার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। মহেন্দ্র এই দুটি লটে নিজস্ব লোক মারফত টাকা তুলে নিচ্ছে। বাহের কেদার কসাই পাড়ার শহিদা পারভিন, মোজাহার আলী জানান, ইতোমধ্যে আমিনুল নামের প্রতিবেশীর মাধ্যমে ১৬শ টাকা দিয়েছে। পশ্চিম পাড়ার মোহাম্মদ আলী, জাকিউল ইসলাম দিয়েছেন ২ হাজার টাকা। মাষ্টার মোড়ের শফিকুল ইসলাম এবং হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে নিয়েছে ৩ হাজার ৫শ টাকা। এরশাদ আলী জানায়, তাদের এলাকার ৩০ জনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা তুলে মহেন্দ্রকে দিয়েছে। কয়েকদিন হলো টেকনিক্যাল মোড়ে মাত্র ৫টি খুটি ফেলে আবার মিটার প্রতি ২ হাজার টাকা দাবী করছেন। টাকা না দিলে বিদু্যুৎ সংযোগ দেবে না, এমন হুমকিও দিয়েছে মহেন্দ্র।
এ বিষয়ে টেকনেশিয়ান মহেন্দ্র বলেন, বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগে ভাই। তবে আপনারা লাখ টাকার কথা বলছেন সেরকম নয়। খরচা বাবদ গ্রাম প্রতি দশ-বিশ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম লালমনির হাট পল্লী বিদু্যুতের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, দালালদের দৌরাত্ম এবং টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা সচেতনতামূলক মাইকিং, পোষ্টারিং চালিয়েও রোধ করতে পারছি না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় নুতুন লাইন নির্মাণে সিন্ডিকেট দালাল এবং টেকনেশিয়ানরা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা । প্রাথমিক জরিপ, পরিমাপ, খুটি, মিটারসহ বিভিন্ন ধাপে প্রতি মিটারে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বর্তমানে নাগেশ্বরীতে শতভাগ নতুন লাইন নির্মাণাধীন রয়েছে। এ সুযোগে খুটি আনা এবং লাইন নির্মাণে ব্যাপক বাণিজ্য শুরু করেছে দালাল চক্র। লিফলেট, পোষ্টার, মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব দালাল এবং টেকনিশিয়ানদের দৌরাত্ব। তারা বিভিন্ন কায়দায় লাইন নির্মাণে জরিপ এবং পরিমাপের সময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগবে বলে স্থান ভেদে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা মিটার প্রতি গ্রাহকদের সাথে চুক্তি করে। পরে পরিমাপের সময় থেকে সংযোগ পর্যন্ত এই টাকা তুলে নেয় গ্রাহকের কাছ থেকে । এসব টাকা উত্তোলনের সাথে বিদ্যুতের কিছু টেকনেশিয়ান, অসৎ কর্মকতা, প্রকৌশলী জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জরিপ এবং লাইন পরিমাপে একেক প্রকৌশলীকে দিন প্রতি দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। এ টাকা দালাল মারফত যায় তাদের পকেটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার টেকনিক্যাল মোড় ও মাষ্টারপাড়া নামক দুটি লটে ৬ হাজার টাকা চুক্তিতে দালালী করছে মহেন্দ্র নামের এক টেকনিশিয়ান । ইতোমধ্যে গ্রাহক প্রতি ১৫শ থেকে ২ হাজার করে টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ এই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে । এখানে গ্রাহক সংখ্যা ৫ শতাধিক। এখন খুটি আনার জন্য আরও ২ হাজার করে টাকার তাগাদা দিচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলীম, জামাল উদ্দিন বলেন, ২ বছর আগে মহেন্দ্র আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে দুটি লট থেকে ৭ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। এখন আবারও খুটি আনার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। মহেন্দ্র এই দুটি লটে নিজস্ব লোক মারফত টাকা তুলে নিচ্ছে। বাহের কেদার কসাই পাড়ার শহিদা পারভিন, মোজাহার আলী জানান, ইতোমধ্যে আমিনুল নামের প্রতিবেশীর মাধ্যমে ১৬শ টাকা দিয়েছে। পশ্চিম পাড়ার মোহাম্মদ আলী, জাকিউল ইসলাম দিয়েছেন ২ হাজার টাকা। মাষ্টার মোড়ের শফিকুল ইসলাম এবং হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে নিয়েছে ৩ হাজার ৫শ টাকা। এরশাদ আলী জানায়, তাদের এলাকার ৩০ জনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা তুলে মহেন্দ্রকে দিয়েছে। কয়েকদিন হলো টেকনিক্যাল মোড়ে মাত্র ৫টি খুটি ফেলে আবার মিটার প্রতি ২ হাজার টাকা দাবী করছেন। টাকা না দিলে বিদু্যুৎ সংযোগ দেবে না, এমন হুমকিও দিয়েছে মহেন্দ্র।
এ বিষয়ে টেকনেশিয়ান মহেন্দ্র বলেন, বিদ্যুৎ পেতে হলে টাকা লাগে ভাই। তবে আপনারা লাখ টাকার কথা বলছেন সেরকম নয়। খরচা বাবদ গ্রাম প্রতি দশ-বিশ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম লালমনির হাট পল্লী বিদু্যুতের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, দালালদের দৌরাত্ম এবং টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা সচেতনতামূলক মাইকিং, পোষ্টারিং চালিয়েও রোধ করতে পারছি না। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।