দুটি পা অচল, তবুও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধি মিজানুর

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
দুটি পা  অচল তাঁতে কি, বাবা মায়ের সহযোগিতায়  হুইল চেয়ারে করে পরীক্ষা   কেন্দ্রে এসে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা  দিচ্ছে শারিরিক প্রতিবন্ধি মিজানুর রহমান (১৬)। সে এবার ২০১৮ সালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় দিচ্ছে। তাঁর রোল নম্বর ৬২৭২৩০
গত শনিবার বাংলা দিত্বীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রণচন্ডী স্কুল এ্যান্ড কলেজে গেলে রণচন্ডি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং কেন্দ্র সচিব মুকুল হোসেন জানান, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গনেশ গ্রামের  অসহায় দরিদ্র কৃষক মমতাজ মিয়ার ছোট ছেলে মিজানুর রহমান গত ১০ বছর আগে অজ্ঞাত রোগে দুটি পায়ই  অচল হয়ে পরে। দুটি পা অচল হয়ে পড়লে মিজানুর রহমান লেখাপড়া করার  জন্য তাঁর পিতা মাতার কাছে কান্নাকাটি শুরু করে। তাঁর পিতা মাতা পড়া লেখার প্রতি  মিজানুরের অদম্য আগ্রহ দেখে গনেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। প্রতিবন্ধি মিজানুর ওই স্কুল থেকে ২০১২ সালে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে গনেশ উচ্চ বিদ্যালয়  থেকে জেএসসিতে অংশ নিয়ে ৪ পয়েন্ট পায়। বর্তমানে গনেশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মিজানুর রণচন্ডি স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
প্রতিবন্ধি মিজানুরের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে দুই মেয়ে। চার ছেলে মেয়ের মধ্যে মিজানুর সবচেয়ে ছোট। মিজানুরের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে গনেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুল  ইসলামের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাঁকে স্কুলে ভর্তি করে নেন। মিজানুর স্কুলে যেতে না পারায় আমি প্রতিদিন তাঁকে কোলে করে স্কুলে নিয়ে যেতাম। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ কুষ্ট ও প্রতিবন্ধি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আসাদুল হক যাদু মিয়ার কাছে আমার ছেলেকে নিয়ে গেলে তিনি আমার ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যাবস্থা করে দেন। তখন থেকে আমার ছেলেকে হুইল চেয়ারে করে স্কুলে নিয়ে যেতাম। এসএসসি পরীক্ষায় রণচন্ডি স্কুল এ্যান্ড কলেজের দিত্বীয় তলায় তাঁর সিট পড়ায় তাঁকে কোলে নিয়ে সিটে বসিয়ে দেই।
প্রতিবন্ধি মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে সে জানায়, আমি পড়ালেখা করে চাকুরী করতে চাই। আমার জন্য আমার বাবা মা যে কষ্ট করেছে চাকরী করে আমি আমার বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফুটাতে চাই। সে আরো জানায়, প্রতিবন্ধিরা যে সমাজের বোঝা নয় তা লেখাপড়ার করে চাকরী করে তা বোঝাতে চাই।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 79076295783584747

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item