কিশোরগঞ্জে সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের ২০ একর জমির সেচ অনিচ্ছিত

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুশা ঝাড়পাড়া গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন সেচপাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ২০ একর  জমির সেচ অনিচ্ছিত হয়ে পড়েছে। এতে করে ওই এলাকার ক্ষুদ্র কৃষকরা  বোরো চাষ নিয়ে চিন্তিত হয়েছে পড়েছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার ২০ জন কৃষক সেচ পাম্পের পুর্ণ সংযোগের দাবিতে কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ২০০৬ সালে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা ঝাড়াপাড়া গ্রামের কৃষকগণ তাদের বোরো চাষ সহ অন্যান্য ফসলে সেচ প্রদানের নিম্মিত্তে মোঃ ফজলার রহমানের বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ সাব রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক অহিদুল ইসলামের নামে সেচ পাম্পের একটি মিটার সংযোগ নেয়। যাহার মিটার নম্বর ৪৫৬/২৩৫০। এলাকাবাসী জানায়, ওই মিটারের মাধ্যমে সংযোগ নিয়ে আমরা র্দীঘদিন থেকে ফজলার রহমানের তৃতীয় ছেলে ও অহিদুলের ছোট ভাইয়ের বাড়িতে মর্টার বসিয়ে  ফসলি জমিতে সেচ প্রদান করে আসছি। কিন্তু গত এক বছর আগে ফজলার রহমানের চার ছেলে পৃথক হওয়ায় ও তাদের মধ্যে পারিবারিক  বিরোধ দেখা দেয়। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে অহিদুল গত দুইমাস আগে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদন করলে পল্লী বিদ্যুতের  লোকজন গিয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে। এলাকাবাসী আরো জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ২০ একর জমিতে সেচ প্রদানের জন্য পুনরায় সংযোগটি চালু করার জন্য উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করলেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ না দেওয়ায় বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে।
অহিদুলের ছোট ভাই রেয়াজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত ২০০৬ সালে এলাকাবাসীর ২০ একর ফসলি জমিতে সেচ প্রদানের জন্য আমার নিজ উদ্যোগে  ৬৩ হাজার টাকা খরচ করে আমার বড় ভাই অহিদুলের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিতে গেলে আমার বড় ভাই অহিদুল গোপনে মিটারটি আমার নামে না করে তাঁর নিজ নামে করে নেয়। পাম্পের বিল আসার সময় দেখি মিটারটি আমার বড় ভাইয়ের নামে।
মিটার তাঁর নামে থাকলেও সেচ পাম্পটি আমার বাড়িতেই স্থাপন করে কৃষকের ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে আসছি।   গত কয়েক মাস থেকে আমার ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলায় সে পাম্পটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদন করলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে মিটারের সংযোগ কেঁটে দিয়ে মিটার নিয়ে যায়।
অহিদুল ইসলাম জানায়, আমি কয়েকমাস আগে মিটারটির সংযোগ বন্ধ করার জন্য পল্লী বিদ্যুতের অফিসে আবেদন করেছিলাম। এখন আমি অন্য জায়গায় মিটারের সংযোগ নেব।
 লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারী, এলাকার ক্ষুদ্র কৃষক আব্দুল কাদের, খাদেমুল ইসলাম, আতাউর রহমান,মোকচ্ছেদ আলী , ইমন , আজাদ, আজিজুল সহ অনেক কৃষক বলেন, মিটারটি যেখানে ছিল সেখানে সংযোগ দিলে আমরা চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারব। তা না হলে আমাদের বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসার (এজিএম) এম এ সাইদ বলেন, আইন অনুযায়ী ওই সেচ পাম্পের মালিক অহিদুল । অহিদুল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদন করায় আমরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে সুরাহার জন্য  কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল আমার কাছে এসেছিল।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, তারা দুই ভাই আমার কাছে আসলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্ঠা করব। তাদের কারনে কৃষকদের বোরো চাষ ব্যাহত হোক তা ঠিক হবেনা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল বলেন, স্থানীয় কৃষকদের চলতি বোরো চাষ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য আমি উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম কে আগের জায়গায় সংযোগ দিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমাকে বলেন, আইন অনুযায়ী সেটি সম্ভব নয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1452606615156074006

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item