পীরগঞ্জে টাকা বা খাস জমি না পেয়ে হা-পিত্যেশ করছেন ভুমিহীনরা!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল,পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

ভুমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার অঙ্গীকারে পীরগঞ্জে টুকুরিয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষর দিয়ে ৩২ জন ভুমিহীনের কাছে প্রায় ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযোগের পর রংপুরের এডিসি (রাজস্ব) তদন্ত করেছেন। বর্তমানে ওই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় ভুমিহীনরা জমি বা টাকা কোনটাই না পাওয়ায় হা-পিত্যেশ করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার টুকুরিয়া ও মদনখালী এ দুটি ইউনিয়নের ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে নারায়ন চন্দ্র মহন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে চাকরীর সুবাদে বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম, দুর্নীতিসহ নানান অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশি¬ষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অসংখ্য লিখিত অভিযোগ করা আছে। গত বছরের শুরুর দিকে ওই ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা, ছাতুয়া, রামকানুপুর, গোপীনাথপুর ও জয়ন্তীপুর গ্রামের ৩২ জন ভুমিহীনকে সর্বনিম্ন ২৫ শতক এবং সর্বোচ্চ ৫০ শতক পর্যন্ত খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য নাম-তালিকাভুক্ত করেন। একপর্যায়ে তিনি ইউনিয়নটির তরফমৌজা গ্রামের মৃত. আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মতিয়ার রহমানের বাড়ীতে ছোটখাটো আয়োজন করে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক ভুমিহীনের কাছ থেকে ৩ হাজার করে মোট ৯৬ হাজার টাকা গ্রহন করেন। এ সময় ওই ভুমি কর্মকর্তা তার অফিসের সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে কম্পিউটার কম্পোজকৃত তালিকাভুক্ত কাগজটি ভুমিহীনদের মাঝে সত্যতা প্রমানের জন্য প্রদান করেন। এরপর থেকে ভুমিহীনরা তার অফিসে খাসজমি বন্দোবস্তের জন্য ঘুরতে থাকে। পরে ওই ভুমি কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করলে ভুমিহীনরা ইউএনও এবং রংপুরের এডিসি (রাজস্ব) এর কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ড কাদিরাবাদে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বিষয়টির তদন্ত করেন। সম্প্রতি অভিযোগকারীরা রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাক্ষ্য-প্রমান দেন বলে জানা গেছে। ওই ভুমি কর্মকর্তা একটি মামলায় প্রায় ১ মাস আগে সাময়িক বরখাস্ত হলে ভুমিহীনরা হা-পিত্যেশ করছেন। ভুমি কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মহন্ত বলেন, আমি টাকা নেইনি। তরফমৌজার ভুমিহীন মতিয়ার রহমান, গোপীনাথপুরের মফিদুল ইসলাম, রামকানুপুরের জয়নাল আবেদীন, জয়ন্তীপুরের মোমিনুল, ছাতুয়ার বাদশা মিয়া বলেন, আমাদেরকে খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়ার অঙ্গীকার করে প্রত্যেকের কাছে ৩ হাজার টাকা মোট ৯৬ হাজার টাকা একদিনেই ওই ভুমি কর্মকর্তা (নারায়ন চন্দ্র) নিয়েছে। এখন তিনি টাকা দিচ্ছেন না। জমিও পাবো না। কষ্টের টাকা কিভাবে আদায় করবো। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। নারায়ন চন্দ্র একটি মামলায় জেলহাজতে আটক হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5838755820688905397

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item