পীরগঞ্জে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স গ্রহনে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের

মামুনুর রশিদ মেরাজুল-
রংপুরের পীরগঞ্জের মজুদদার ব্যবসায়ীদের মাঝে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স গ্রহনে কোন আগ্রহ নেই। খাদ্য বিভাগ ওই লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করতে ব্যাপক প্রচার করলেও ব্যবসায়ীরা সাড়া দিচ্ছে না বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র ১৪ জন ব্যবসায়ী উল্লেখিত লাইসেন্সটি সংগ্রহ করেছে। ওই লাইসেন্স গ্রহনের শেষ সময় আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিধি অনুযায়ী খাদ্যশষ্য আমদানী ও স্থানীয় পর্যায়ে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের খাদ্যশষ্য (চাল, গম ও গমজাত দ্রব্যাদি) এবং খাদ্য সামগ্রী (চিনি, ডাল, সয়াবিন তেল ও পামওয়েল) ক্রয়-বিক্রয়ও গুদামজাতকরনের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স  গ্রহন বাধ্যতামুলক। প্রতি বছরের জন্য লাইসেন্স ফিস ১ হাজার টাকা (চালান কোড নং-১-৪৮৩১-০০০১-১৮৫৪) এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট (চালান কোড নং- ১-১১৩৩-০০৪৫-০৩১১) সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে খাদ্য বিভাগ থেকে লাইসেন্সেটি সংগ্রহ করতে হয়। এ লক্ষে উপজেলা খাদ্য বিভাগ গত ৫ অক্টোবর মজুদদার ব্যবসায়ীদেরকে ফুড গ্রেইন লাইসেন্সের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, চালকল মালিক সমিতি, হাট-বাজার সমিতির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে স্থানীয় হাট-বাজারে ঢোল, শহরত, মাইকিং, লিফলেট বিতরন করে আসছে। আগামী ৩০ অক্টোবর ওই লাইসেন্স গ্রহনের শেষ সময় বেঁধে দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১৪ জন ব্যবসায়ী লাইসেন্স সংগ্রহ করেছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা, বেশ কয়েকটি বড় হাট, শতাধিক আড়তদারসহ সহশ্রাধিক খুচরা ও পাইকারী মজুদদার ব্যবসায়ী থাকলেও ব্যবসায়ীরা ফুড গ্রেইন লাইসেন্স গ্রহন করছে না। বিধি অনুযায়ী একজন পাইকারী ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ৩’শ টন ধান, ২’শ টন গম, চিনি ৫০ টন, সোয়াবিন ও পামওয়েল তেল ৩০ টন করে, ডাল ৪০ টন ৩০ দিন পর্যন্ত এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ধান ১৫ টন, গম-গমজাত সামগ্রী ১০ টন, চিনি, তেল ও ডাল ৫ টন করে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত মজুদ রাখতে পারবে। কিন্তু পীরগঞ্জের বেশকিছু চিহ্নিত ব্যবসায়ীর নিজস্ব গুদামে হাজার হাজার মন ধান, চালসহ উল্লেখিত খাদ্যশষ্য এবং তেল ও চিনি জাতীয় খাদ্য সামগ্রী দীর্ঘ সময় ধরে মজুদ রয়েছে। খাদ্য উদ্বৃত্ত পীরগঞ্জে ওই মজুদদাররাই স্থানীয় বাজারে খাদ্যশষ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে মোটা অংকের মুনাফা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় ওইসব মজুদদারকে আইনের আওতায় সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ হাবিবুর রহমান বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স গ্রহনের জন্য আমরাও বিভিন্নভাবে ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করছি। লাইসেন্সটি গ্রহন না করলে পরবর্তীতে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছায়েদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে মজুদদার ব্যবসায়ীদের কোন তথ্য নেই। এ আইনের পর থেকেই আমরা ব্যবসায়ীদের সঠিক তথ্য নিরুপন করতে ব্যাপক প্রচার করেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স সংগ্রহ না করলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের গুদামে মজুদকৃত খাদ্যশষ্য অবৈধ ঘোষণা করে বাজেয়াপ্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা মজুদ এবং খাদ্যমুল্য নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকারী নির্দেশ যথাযথভাবে প্রয়োগ করবো। এক্ষেত্রে মামলাও হতে পারে। তবে সময় বৃদ্ধি করলে আরও কিছু লাইসেন্স হতে পারে বলে আশা করছি। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2193223333779397683

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item