পঞ্চগড়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

মো: তোতা মিয়া, পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ে তরুনী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।পঞ্চগড় আয়মা ঝলই পুরাডাঙ্গা গ্রামের মো: হাজারুল ইসলামের স্কুল পড়–য়া কণ্যা কে একই গ্রামের মো: আলফাজ(২৬) ও তার সহযোগি মো: একরামুল হক(৩০) গত ০৮/০৯/২০১৭ইং তারিখ রাতে ধর্ষন করে বলে ছাত্রীটির মা জানায়। তরুনী তার বড় ভাইয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি পাশে দাড়ালে উৎ পেতে থাকা মৃত: আতাবউদ্দীনের ছেলে আলফাজ ও নিছামউদ্দীন এর ছেলেমো: একরামুল পরিকল্পিত ভাবে তরুনী কে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। একটি নির্জন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে সেখানে তরুনী কে হাতমুখ বেধে জোড় পূর্বক ধর্ষন করতে থাকে। এদিকে তরুনীর মা মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাকে খোজা খোজি করতে থাকে। কোথাও না পেয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত বাড়িটিতে সন্দেহ হলে সেখানে গিয়ে তরুনীকে ধর্ষন করা অবস্থায় দেখে। এসময় তরুনীর মা চিৎকার দিলে ধর্ষক আলফাজ তরুনীর মা কে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তরুনীকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এ বিষয়ে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র ধর্ষকদের সাথে আতাত করে তরুনীর পরিবারকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে  ধর্ষনের আলামত নষ্ট করার পরিকল্পনা করে। ধর্ষিতার তরুনীর পিতা উপায়ন্ত না পেয়ে গত ১৪/০৯/২০১৭ইং তারিখে পঞ্চগড় সদর থানায় এজাহার করে। কিন্তু তরুনীর পিতা হাজারুল জানায় পঞ্চগড় সদর থানার এস.আই মো: রফিকুল ইসলাম (রফিক) আমার দাখিলকৃত এজাহার টি পরিবর্তন করে উনার লিখিত এজাহারটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে। তরুনীর পিতা উপায়ন্ত না পেয়ে কণ্যা ধর্ষনের ন্যায় বিচারের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও মানবাধিকার কাছে বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করে। তবে এলাকার শত শত নারী পুরুষ জানান একরামুল ও আলফাজ এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি অনেক বিবাহিতা মহিলাদেরও সংসার নষ্ট করেছে। এলাকাবাসী সকলেই একরামুল ও আলফাজের বিচারের দাবী জানান। এ বিষয়ে ধর্ষিতার চাচা মোশারফ ও ধর্ষিতার পিতা কণ্যা ধর্ষনের ন্যায় বিচার পেতে আশংকা করেন। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান ধর্ষিতা অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবে।