কুড়িগ্রামে ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা থানায় লিখিত অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2017/10/kurigram_14.html
কুড়িগ্রামে ২য় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালানোর ঘটনায় থানায় ছাত্রীর পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২ অক্টোবর জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গোড়াই রঘুরায় গ্রামে। জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ফারিজা কামাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী এবং বুড়াবুড়ি ইউপির কামদেব মুছল্লী পাড়ার আমিনুল ইসলাম ওরফে আবেদের কন্যা (৮) কে দুর্গাপুর ইউপির বাহার আলীর পুত্র মিজানুর (২২) দুপুর আনুমানিক ১২টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফুসলিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। ঐ সময় মিজানুরের বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় সে ছাত্রীটিকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকার করে এবং দৌড়ে নিজ বাড়িতে চলে এসে তার মাকে ঘটনা জানায়। ছাত্রীর দরিদ্র মা ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুরের বাড়িতে গিয়ে গালমন্দ করে। একই সময় ছাত্রীর বাবা মিজানুরের বাড়ীতে গেলে তাকে মারপিট করে। ছাত্রীর পিতা আবেদ আলী জানায়, রাত্রে আমি আমার মেয়ে সহ উলিপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। ওয়ার্ড মেম্বার এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনায় এলাকার মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করছি। এলাকার মনছুর আলীর পুত্র মুকুল মিয়া (৩০) মৃত নছু মামুদের পুত্র আ: রহমান, হাছিমুদ্দির পুত্র সিরাজুল, আজিজুল এবং আজিজার রহমানের স্ত্রী শাহাজাদী জানায়, ইতিপুর্বেও মিজানুর নানা ঘটনা ঘটিয়েছে। আবেদের কন্যা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে সে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা এই লক্ষাস্কর ঘটনার দুষ্টান্ত মুলক বিচার চাই। ফারিজা কামাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল মিয়া জানান, ঘটনাটি আমি পরে লোকমুখে জেনে একজন সহকারী শিক্ষককে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হই। স্কুলে পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। উলিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, গোপনে তদন্ত করা হচ্ছে সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মতামত জানতে এলাকায় গিয়ে মিজানুরের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।