পীরগাছায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ

ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগাছায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুবিধাভোগিদের পাশবহি ও মাষ্টার রোলের সাথে অন-লাইন হিসাবে সঞ্চয় ও ঋণ আদায় ও বিতরণে প্রায় ৭০ লাখ টাকার গড়মিল ও ৪০ লাখ টাকা অফিস ঘার্তি দেখিয়ে আতœসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এঘটনায় তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল এবং কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারি মোঃ নুরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ।  বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার এরশাদুল আলম ও মাহবুবার রহমানের নিকট  এক লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হলেও পরবর্তীতে আবারো মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় কোন কারন ছাড়াই তাদেরকেও বরখাস্ত করা হয়। ফলে ওই প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা তদন্ত করতে স্থানীয় সাংসদ টিপু মুন্সিও সুপারিশ করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই প্রকল্পটি গত ২১/১১/২০১৫ তারিখে “একটি বাড়ি একটি খামার” প্রকল্পের ২৬নং অভ্যন্তরীন অডিট টিম পীরগাছা উপজেলায় সুবিধাভোগিদের পাশবহি ও মাষ্টার রোলের সাথে অন-লাইন হিসাবে সঞ্চয় ও ঋণ আদায়-বিতরণে ৬৯,৪৬,৩২৩/- টাকা গড়মিল এবং অফিস ঘার্তি ৩৮,৫২,৮২৮/- টাকা আতœসাতে উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রদান করেন।  পরবর্তিতে অনিয়ম-দূণীতি ও অর্থ  আতœসাতের জন্য তৎকালীন উপজেলা সমন্বয়কারী, পীরগাছা, রংপুর মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল এবং কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারি মোঃ নুরুল হককে ১৩/০৩/২০১৫ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করতে গঙ্গাচড়া ও বদরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়কারী জনাব মোঃ লেবু মিয়া ও মোঃ আতিকুল ইসলাম সাহেবকে প্রধান কার্যালয় থেকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তারা পীরগাছা অফিসে এস বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত না করে ঢালাওভাবে অফিসে কর্মরত সকল স্টাফদের নিকট থেকে মোটা অর্থ টাকা দাবী করেন।  পরে তদন্ত কর্মকর্তাদ্বয় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে অফিসের সমস্যা সামাধান কল্পে সকলের সহযোগিতা চাইলে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপজেলা সমন্বয়কারী ও কম্পিউটার অপারেটর কাম-হিসাব সহকারিকে এক লাখ, ফিল্ড সুপারভাইজারদের ৫০ হাজার টাকা করে এবং মাঠ সহকারিদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে  আদায় করা হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তাদ্বয় আবারো অর্থ দাবি করলে ফিল্ড সুপারভাইজার এরশাদুল আলম ও মাহবুবার রহমান টাকা দিতে অস্কীকার করলে  ওই দুজনকেও মিথ্যা সাজানো ঘটনা সাজিয়ে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া মাহবুবার রহমান ও এরশাদুল আলম এ ঘটনায় ওই প্রকল্পের নানা অনিয়ম তুলে ধরে ঘটনাটি তদন্ত তাদের স্বপদে বহালের  জন্য রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যা স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি তদন্তের জন্য সুপারিশ করছেন। এ ঘটনার ওই দুই ফিল্ড সুপারভাইজার দীর্ঘ এক বছর ৩ মাস ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এব্যাপারে ওই প্রকল্পের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ লেবু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।