নীলফামারীর আশ্রয় কেন্দ্রের বানভাসীরা ত্রাণ চায়না, চায় তৈরী খাবার

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮ আগষ্ট॥
বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হলেও অনেক এলাকার ঘরবাড়ি হতে এখনও পানি নামেনি। ফলে নীলফামারীর জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার ১২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০৯টি পরিবার গরু , ছাগল, হাঁস মুরগী ও আসবাসপত্র নিয়ে অবস্থান করছে। আজ শুক্রবার এদের মধ্যে ১৮ টি আশ্রয় কেন্দ্রের ৯৯১ পরিবার নিজবাড়ি ফিরে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে  সরকারীভাবে শুকনা খাবার, চাল ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

এদিকে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে যে ৫০৯টি পরিবার রয়েছে তারা ত্রাণ নয়, তৈরী খাবার সরবরাহের দাবি করেছে। পাশাপাশি পরিবারগুলো তাদের পালিত গো-খাদ্যের সংকটে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

অপর দিকে বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়া ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা সরকারীভাবে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বাকী ৪ জনের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে বরাদ্দ পাওয়া মাত্র তা প্রদান করা হবে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এ,টি,এম আখতারুজ্জামান।

সুত্র মতে, চলমান বন্যায় জেলার ছয় উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌর এলাকার স¤পূর্ণ ও আংশিক মিলে ৪১হাজার ৫৩৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের জন্য ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬ হাজার শুকনো খাবার  বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সুত্র মতে, এ পর্যন্ত নীলফামারী জেলায় ৩৭ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ৬০ হেক্টরে শাক সবজি, ১০৮ হেক্টরে মরিচ এবং ৩৭ হেক্টরের কলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চার দিনের বন্যায় জেলায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ কোটি টাকা।
মৎস্য বিভাগের আওতায় ২৪ হাজার ৯৭০টি পুকুর এবং ২২৩০টি সাইফুন ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতি ৮ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসান ফেরদৌস সরকার।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন বন্যার কারণে বিধ্বস্থ্য হওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ২কোটি ৪৫লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানে বানভাসি মানুষদের চিকিৎসা সেবায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঠে অবস্থান করাসহ ছয় উপজেলায় ছয়টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, গোটা জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে দ্রুত পৌঁছে দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2847397801030000322

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item