ভারী বর্ষন ও পানির চাপে তিস্তা সেচ ক্যানেলের বাঁধ বিধ্বস্থ্য

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ আগষ্ট॥
 অবিরাম ভারী বর্ষনের পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর প্রধান সেচ ক্যানেলের ডানতীর বাঁধের দুইটি স্থানে ১০০ ফুট বিধ্বস্থ্য হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ি স্ল্ইুচ গেটের অদুরে কাঠাঁলী নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই সব এলাকার হয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপাআমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ এমনিতেই ভারী বর্ষনে জমি তলিয়ে গেছে। তার উপর ক্যনেলের বাঁধ সংস্কার না করায় পানির চাপে এমনটি ঘটেছে। এরজন্য নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোডের গাফলাতি রয়েছে। তারা সস্কারের অর্থ তুলে বাঁধ সংস্কার করেনি।
কাঁঠালী এলাকার কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে দুন্দিবাড়ি স্লুইচ গেটের অদুরে দিনাজপুর প্রধান সেচ ক্যানেলের কাঁটালী ও দেশীবাই পৃথক নামকস্থানে ক্যানেলের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এরমধ্যে কাঁঠালীতে ৭০ ফুট ও দেশীবাই নামকস্থানে ৩০ ফুট বিধ্বস্থ্য হয়। বিধ্বস্থ্য স্থান দুইটির ভাঙ্গন এলাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বৃস্টির পানির সঙ্গে ক্যানেলের পানি এক হয়ে এলাকার কয়েক হাজার রোপা আমন ক্ষেত ভাসিয়ে দিয়েছে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা ডালিয়া পানি উন্নয়নের বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চারদিনের টানা ভারী বর্ষনের পানির চাপে দিনাজপুর সেচ ক্যানেলের জলঢাকায় দুইটি স্থানের ডানতীর বাঁধ বিধ্বস্থ্য হয়েছে। অবিরাম বর্ষনের কারনে এই মূহুর্ত্বে বিধ্বস্থ্য স্থান দুইটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে দুন্দিবাড়ি স্লুইচ গেট বন্ধ করে দেয়ায় নতুনভাবে ওই ক্যানেলে পানি প্রবেশ করতে পারছেনা। এতে পরিস্থিতি কিছু নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ চারদিনের অবিরাম বর্ষনের কারনে  নীলফামারী জেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃস্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাস্তাঘাট,বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। প্রতিটি বাড়ির অঙ্গিনা হাটু পানির নিচে। এ ছাড়া জেলার প্রতিটি ছোটবড় নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। # 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8956952018251053340

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item