তিস্তার তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নীলফামারীতে জেলা প্রশাসনের প্রেস ব্রিফিং

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৩ জুলাই॥
জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ১৮০ মেট্রিকটন চাল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। আজ বৃহস্পতিবার আরো ১শ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ টাকার বরাদ্দ এসে পৌঁচেছে।
জেলা প্রশাসন আয়োজনে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভপতিত্বে এসময় বক্তৃতা দেন ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহীনুর আলম, জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা এ টি এম আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিস্তার সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের তিন হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের মাঝে এপর্যন্ত ১৮০ মেট্রিকটন চাল ও ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে বাছাই করে প্রয়োজনমাফিক ওই বরাদ্দ থেকে বিতরণ কার্যক্রম চললেছ। বৃহস্পতিবার আরো ১শ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন সমূহ হলো ডিমলা উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ি, ঝুনাগাচাপনী, খালিশাচাপানী, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ইউনিয়ন এবং জলঢাকা উপজেলায় গোলমু-া, শৌলমারী, কৈমারী ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম বলেন,‘সকল ক্ষতিগ্রস্থ যাতে সহযোগীতা পায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সরকারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। যে পর্যন্ত প্রয়োজন সেই পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, ‘দূর্গত এলাকায় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তালিকা অনুযায়ী এ পর্যন্ত ওই দুই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা তিন হাজার, এটি পরবর্তীতে বাড়তেও পারে। ওই ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বাছাই করে প্রয়োজন অনুসারে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। স্বাস্থ্য সেবায় এলাকায় মেডিক্যাল টীম কাজ করছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরকে বিশুদ্ধ পানীয় জল ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায় সেদিকে নজরদারি রয়েছে। ত্রাণ ও দূর্যোগ  মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি নিয়মিত জরুরী ত্রাণ কার্যক্রম দেখভাল করছেন। এছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে খোঁজখবর রাখছেন এবং ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগীতা করছেন। পাশাপাশি পূর্ণবাসন কার্যক্রমের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7296634379065117628

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item