সৈয়দপুরে গোলাহাট গণহত্যা দিবস পালিত

তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

সৈয়দপুরে আজ (মঙ্গলবার) ১৩ জুন শহরের গোলাহাট গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি, সৈয়দপুর এর উদ্যোগে দিবসের কর্মসূচিতে ছিল শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পূজা-অর্চনা,মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও আলোচনা সভা।
দিবসটি উপলক্ষে শহরের উপকণ্ঠে গোলাহাট বধ্যভূমিতে অর্ধনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় সকালে পূজা-অর্চনার আয়োজন করা হয়। পরে শহীদদের স্মরণে এক  আরোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি গোকুল কুমার পোদ্দার।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন‘৭১-এর ১৩ জুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র দাস, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান মহসিনুল হক মহসিন, এ আর আলম, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরকার, মীর্জা সালাউদ্দিন বেগ, পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রায় প্রমুখ। সভার শুরুতেই শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের সন্তানেরা পুস্পমাল্য অর্পন করেন। প্রজম্ম ’৭১ এবং  স্মরনিকা পরিষদের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
   পরে সন্ধ্যায় শহীদদের স্মরণে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে স্মৃতি অম্লানে ৪৪৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ’৭১- এর ১৩ জুন। এদিন  সৈয়দপুর শহরের বসবাসরতসংখ্যালঘু হিন্দু ও মাড়োয়ারীদের নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে জড়ো করা হয়। এরপর সবাইকে তোলা হয় একটি বিশেষ ট্রেনে। পরে ট্রেনটি শহরের উপকণ্ঠে গোলাহাট এলাকায় নিয়ে গিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়। এখানে হানাদার পাক বাহিনীর ও তাদের এদেশীয় দোসর অবাঙ্গালীরা ট্রেন থেকে নামিয়ে একে একে ৪ শ’ ৪৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে জবাই ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞের স্থানটি সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। আর সেই থেকে ১৩ জুন মুক্তিযুদ্ধকালীন সৈয়দপুরের গোলাহাট গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।  

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8864933849975885348

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item