অবশেষে ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ নিয়ে মুখ খুললো তথ্য মন্ত্রণালয়

ডেস্ক-
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত দু’টি চলচ্চিত্র ‘নবাব’ এবং ‘বস-২’ মুক্তির বিরোধীতা করে পত্র-পত্রিকা, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু মন্তব্য নজরে এনে তথ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে এবং এ নীতিমালার আলোকে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি তদারক করার জন্য এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ‘যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি’ রয়েছে। এ প্রিভিউ কমিটি যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চিত্রনাট্য কলাকুশলীর সংখ্যাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেবার পরই কেবল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা যায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে আবারও এ প্রিভিউ কমিটির নিকট জমা দিতে হয়। প্রিভিউ কমিটি পুণরায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কি-না, তা পুঙ্খানুপূঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র প্রদান করলেই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক তা সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড অন্যান্য চলচ্চিত্রের মতই সেন্সর আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে কি-না, তা পরীক্ষা করে। কর্তন-বিয়োজনের পরামর্শ থাকলে, তা প্রদান করে। সেই অনুযায়ী নির্মাতা/প্রযোজক কর্তৃক কর্তন-বিয়োজন করে পুণরায় সেন্সর বোর্ডে জমা দিলে, সেন্সর বোর্ড পুণরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইন অনুযায়ী সেন্সর সনদ প্রদান করে। সেন্সর সনদপ্রাপ্ত যে কোনো চলচ্চিত্রের মতোই যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের নিজস্ব বিষয়। এ সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় কোথায়ও সরকারে পক্ষ থেকে কোনো প্রভাব বিস্তার করা বা আইনের বাইরে পা ফেলার সুযোগ নেই।

তথ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, উল্লিখিত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র দু’টি ‘নবাব’ এবং ‘বস-২’র বিষয়েও একই নীতি অনুসৃত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোথায়ও কোনো প্রভাব বিস্তার করা বা আইনের বাইরে থাকার সুযোগ ছিল না। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘বস-২’র বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রদত্ত লিখিত অভিযোগটিও বিধি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় সাথে সাথেই ‘যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি’র নিকট প্রেরণ করে। প্রিভিউ কমিটি অভিযোগটি পুঙ্খানুপূঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে অনাপত্তি ছাড়পত্র প্রদান করে। প্রিভিউ কমিটির অনাপত্তি ছাড়পত্র পাবার পর ‘বস-২’র নির্মাতা/প্রযোজক সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সর সনদপত্র প্রদান করে। ‘বস-২’র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের একান্ত নিজস্ব বিষয়।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার ও সরকারের সকল সংস্থা বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা বা হীন উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রদান বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 8186890798674163485

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item