জলঢাকায় তিস্তা সেচ ক্যানেলে পোনা মাছ অবমুক্ত করলেন গোলাম মোস্তফা এমপি

স্বপ্নের মৎস্য চাষ প্রকল্পটি অবশেষে আলোর মুখ দেখলো


মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
স্বপ্নের মৎস্য চাষ প্রকল্পটি অবশেষে আলোর মুখ দেখলো। নীলফামারী জলঢাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায়  তিস্তা সেচ ক্যানেলে মৎস্য চাষ প্রকল্পের ৫ প্রজাতির ২৪৪ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করলেন নীলফামারী -৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক  গোলাম মোস্তফা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বগুলাগাড়ী এলাকায় বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ অবমুক্তকরণের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা: রাশেদুল হক প্রধান,জেলা সদরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল,সৈয়দপুর খামার ব্যবস্থাপক মৎস বীজ উৎপাদক তপন কুমার দাস,জলঢাকা উপজেলা কর্মকর্তা মিনারা হাফিজা ফেরদৌস । উল্লেখ্য দীর্ঘ  বছর, পরে থাকার পর অবশেষে পুনরায় আলোর মুখ দেখলো দেশের বুহত্তর তিস্তার সেচের মাছ চাষ প্রকল্পটি। এ মৎস্য চাষ প্রকল্পটির পুনর্বিত্তী ঘটায় সম্ভাবনার দুয়ার উম্মোচন হবে বলে মনে করছেন এ উপজেলার মানুষ। শতাধিক সুবিধাভূগী এ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগ করবেন। আর সরকারি ভাবে বিপুল পরিমান অর্থবহ্ ব্যায় নির্ধারন করা হলেও স্বল্প মুল্য নির্ধারন রেখে এ প্রকল্পটিকে আলোর মুখ দেখানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। প্রকল্পটির আওতায় তিস্তার সেচ ক্যানেলে  ৫ প্রজাতির প্রায় ৭ হাজার ৭ শত কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।  সম্প্রতি যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদের সরকারের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ও নীলফামারী ২ সদর মাননিয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর এমপি। একই দিন জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ি ও বগুলাগাড়ি সংলগ্ন এস এইট টি ক্যানাইলে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। উক্ত মৎস্য চাষের সুচনাক্রমে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী ‘ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান ‘ জেলা মৎস্য অফিসার  হাসান ফেরদৌস ‘ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মিনারা হাফিজা ফেরদৌস ‘ পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মাবুদ শেখ ছাড়াও স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ । ৩১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি মৎস্য চাষ আরাম্ভ করেছে।  এ মৎস্য চাষ প্রকল্পটি আশানারুগির ভাবে আশায় সুখের অন্তরালে আনন্দ করছেন প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক।  তাদের চোঁখে মুখে বর্তমানে হাসির ঝিলিক। শিমাহিন আনন্দে তারা উৎফুল্লৌ।  মৎস্য চাষ প্রকল্পটি হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ সময় তাদের মানবেতর জীবন যাপনের করতে হয়েছে। তবে এ মৎস্য চাষ প্রকল্পটি পুনরায় চালু হওয়ায় তারা বাংলাদেশ সরকার সহ স্থানীয় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।  এ মৎস্য চাষ প্রকল্পের আওতায় যা মাছ উৎপাদন হবে তা দিয়ে এ উপজেলার আমিশ চাহিদা পরিপূর্ন্য ভাবে  মিটিয়ে  দেশের অন্য স্থানেও পাঠাতে সক্ষম হবে। ক্যানেলের শতভাগ মৎস্য চাষে সফলতা আসলে যেমন কর্মসংস্থান ঘটবে তেমনি আমিষের চাহিদাও মিটবে অত্যান্ত সুষ্ঠুভাবে বলে জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিনারা হাফিজা ফেরদৌস। তিনি আরো বলেন  বর্তমানে জলঢাকা উপজেলায় মাছের চাহিদা ৪ হাজার ৫ শত ৬০ মেঃ টন। কিন্তু  পরিতাপের বিষয় এখানে মাছ উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩৯ মেঃ টন।  সে হারে প্রায় বেশি অর্ধের মাছ উৎপাদন থেকে বঞ্চিত এ উপজেলার মানুষ। জলঢাকা উপজেলার মধ্যে ৯৭৯ জন সুবিধা ভুগিকে সদস্য করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।  এ কমিটি প্রকল্পের যাবতিয় রক্ষনাবেক্ষন করে থাকবেন। জেলা মৎস্য অফিসার হাসান ফেরদৌস জানান  জেলার ৪ টি উপজেলার বৃহত্তর তিস্তা সেচ এস এইটটি ক্যানেলের দুই ধারের দরিদ্র পরিবারগুলি যেমন উপকৃত হবেন তেমনি এ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতেও আমিষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। সম্প্রতি ২০০৭ সালে তৎকালিন সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনা কর্তৃকপক্ষের আওতায় এ স্বপ্নের মৎস্য চাষ প্রকল্পটির শুভ সুচনা হয়। ওই সময়ে মৎস্য চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এ স্থানীয় জেলারা।  এতে বিপুল পরিমান অর্থ লাঘব হলেও সরকারের কোষাগারে পৌছাতেই সেখানে লছ প্রজেট দেখানো হয়। ব্যাপক সাড়া জাগানো এ মৎস্য প্রকল্পটি তখন স্থাগিত করা হয়।  কিছু স্বার্থলুভি ব্যাক্তির কারনে বেকার হয়ে পরে কয়েক হাজার দরিদ্র শ্রমিক।  পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মাবুদ শেখ বলেন মৎস্য অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্দ্যোগে দরিদ্র ভুক্তভুগিদের কথা বিবেচনা করে পুনরায় মৎস্য চাষ প্রকল্পটি চালু করা হলো। আশা রাখি এতে সুফলোই বয়ে আনবে। অপর দিকে মৎস্য প্রকল্পটি উদ্বোধন কালে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি বলেন বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার। এ উপজেলার হতদরিদ্র জনগনের কথা চিন্তা করে মৎস্য অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্দ্যোগে দীর্ঘ ৮ বছর পর এ প্রকল্পটি চালু হলো। আমার সরকার জানেন যে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন করা মোটেই সম্ভব নয়। এরই সুত্র ধরে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এ মৎস্য চাষ প্রকল্পটিকে আলোর মুখ দেখালো।  তিনি বলেন সরকার উন্নয়নের জন্য ও আপনাদের দুঃখ লাঘোব করার জন্য এ প্রকল্পটির পুনর্বিত্তি ঘটালো।  এ প্রকল্পটি এখন আপনাদের।  এর রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব আপনাদের।  লক্ষ রাখবেন আপনাদের কষ্ঠার্জিত সম্পদ কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8480089991744801469

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item