ডোমারে আরএমপি নারী শ্রমিকদের চার মাস বেতনের ১৮ লাখ টাকার হদিস মিলছে না

বিশেষ প্রতিনিধি ১৪ মে॥
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার দশ ইউনিয়নের এলজিইডির আওতায় আরএমপি প্রকল্পের (রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোডমেইনটেনেস কর্মসূচী-২) এক শত নারী শ্রমিদের ২০১৬ সালের চার মাসের বেতনের টাকার হদিস মিলছে না। যার টাকার পরিমান ১৮ লাখ। এ নিয়ে নারী শ্রমিকরা ডোমার উপজেলা পরিষদের সামনে ওই হদিস না থাকা চার মাসের বেতনের জন্য বিক্ষোভ করেছে গত রবিবার (৭ মে)। অভিযোগ ওই চার মাসের টাকা সংশ্লিষ্টরা উত্তোলন করে আতœসাত করেছে।
এই প্রকল্পের বেশ কিছু নারী অভিযোগ করে জানান উপজেলা প্রকৌশলী শাখার কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির কারনে এই পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে। ডোমারের  এমন প্রভাবশালী সাংবাদিকদের নিকট বার বার অভিযোগ করলেও তারা এ বিষয়ে কোন খবর প্রকাশ করতে বিরত থাকে। এমন কি ওই প্রভাবশালী সাংবাদিক ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পাওয়া সহ ঠিকাদারীর ভাগবাটোয়ারা ও ফায়দা হাসিলে অসহায় নারীদের কোন অভিযোগ কর্ণপাত করেনা। তারা যেন সিন্ডিকেটে পরিনত হয়ে সংবাদও লিখে না। তারা উপজেলা পরিষদের মিটিং সিটিং এর খবর লিখতে ব্যস্ত থাকে। এতে উপজেলা কর্মকর্তা খুশী হবেন এবং ফায়দা সহ বিজ্ঞাপন প্রদান করবে।
অভিযোগ মতে ডোমার উপজেলার এলজিইডির আওতায় আর এমপি প্রকল্পের ১০টি ইউনিয়নে ১০জন করে সর্বমোট এক শতজন নারী শ্রমিক গত ৩ বছর যাবত ইউনিয়ন ভিত্ত্বিক কাঁচা পাকা সড়ক সংস্কারে মাটির কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে দেড় শত টাকা করে দিন হাজিরা হিসাবে মাসে সাড়ে চার হাজার করে মজুরী প্রদানের কথা। এর মধ্যে এক শত টাকা নগদ এবং ৫০টাকা দলের ব্যাংক একাউন্ডে জমা রাখা হয়।  ৪ মাস অন্তর অন্তর তাদের বেতন দেয়া হয়। এরই মধ্যে কেটে যায় ৮ মাস।
এরমধ্যে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর ও চলতি বছরের (২০১৭) জানুয়ারী টু এপ্রিল। ফলে তাদের আট মাসের ৩৬ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা এসে দাঁড়ায়।
দীর্ঘ ৮মাসে বেতন না পেয়ে তারা ডোমার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাদের একাউন্টে চলতি বছরের জানাুয়ারী টু এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসের বেতন জমা রয়েছে। বাকী ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর টু ডিসেম্বর মাসের ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। এ নিয়ে গত রবিবার (৭ মে) নারী শ্রমিকরা উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ ব্যাপারে গোমনাতী ইউনিয়নের নারী শ্রমিকের গ্রুপ সভাপতি মতিনা বেগম জানায়, দায়িত্বে নিয়োজিত সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদ, সুপারভাইজার সুশীল কুমার রায় ও নাজিমুল ইসলাম লিমন চেকের পাতায় আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে যায় এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে ৪মাস পর পর আমাদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। গত ২০১৬ সালের ৪ মাস এবং ২০১৭সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। বিভোক্ষের দিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তরিঘরি করে চলতি বছরের চার মাসের বেতন ব্যাংক হতে উত্তোলন করে তাদের মাঝে বিতরন করলেও ২০১৬ চার  মাসের বেতন তাদের প্রদান করা হয়নি। এখন স্যাররা বলছে অবশিষ্ট টাকা পরে দেয়া হবে। কিন্তু কবে দেয়া হবে সেটি বলছে না। আমরা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি ২০১৬ সালের ৪ মাসের বেতন উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু আমরা টাকা কেউ পাইনি। তাদের অভিযোগ আমাদের নামের টাকা ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্টরা উত্তোলন করে আতœসাত করেছে। এর সঙ্গে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার স্যার জড়িত আছে বলে প্রচার পেয়েছে।
 ডোমার সদর ইউনিয়নের গ্রুপ সভাপতি যশবালা জানায়, দায়িত্বে নিয়োজিত সার্ভেয়ার আব্দুস সামাদ, সুপারভাইজার সুশীল কুমার রায় ও নাজিমুল ইসলাম লিমন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের কাছে ২হাজার টাকা করে দাবী করে। এ ছাড়া আমাদেরকে বেতন দেয়ার সময় ষ্ট্যাম্প বাবদ ৫০টাকা করে কেটে নেয়। ঈদ,পুজার সরকারী ছুটি থাকলেও সেখান থেকে হাজিরার টাকা কেটে নিয়ে তারা সেটি আতœসাত করছে। ২০১৬সালের আমাদের ৪মাসের বেতনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে বার বার ধর্না দিয়ে টাকা পাইনা। তাই বিক্ষোভ করেছি। নারী শ্রমিকরা অভিযোগ করে জানায় তারা যখন বিক্ষোভ করছিল তখন এক প্রভাবশালী সাংবাদিক এসে আমাদের কথা শুনে ছবি তুলে। এরপর ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে গোপনে কথা বলে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায়। কিন্তু আমাদের এই খবর তিনি প্রকাশ করেননি। তবে তারা সেই সাংবাদিকের জানেনা। তবে উপজেলায় শুনেছে তিনি নাকী প্রশাসনের প্রভাবশালী।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন জানায়,  ২০১৬সালের ৪মাসের বেতনের কাগজপত্র চেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তারা কেন ওই চার মাসের বেতন পায়নি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5353886825150005040

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item