২১ বছর ধরে এতিম রনির সম্পদ ভোগ করছেন চাচা ইন্জিঃআজিজুল

আশিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
উলিপুর নারিকেল বাড়ি খামার এলাকার মৃতঃ আনোয়ার হোষেনের একমাত্র পুত্র রেজওয়ান ফেরদৌস রনি (২২) জীবনের ২১ টি বছর পিতার অকালমৃত্যুর কারনে আপন চাচাচাচী ও ভাগীদের দারা আপন পৈতৃক বাড়িভিটা হইতে মাত্র ৭/৮ মাস বয়সেই মা রওশানারা বেগমসহ বিতারিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আতেছে। উলিপুর থানায় রেজওয়ান ফেরদৌস রনির লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে এই প্রতিবেদকের কাছে যে তথ্য উদঘাটন হয়েছে তাতে শ্রী কৃষ্ণ এর মামা কংষ রাজাকেও হার মানাবে। আজ থেকে প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে উলিপুর নারিকেলবাড়ি খামার এলাকার মৃত হোষেন আলী ব্যাপারির দুই স্ত্রীর সংসারে মোট ৫ জন ছেলে মেয়ের মধ্যে এতিম রনির বাবা পুত্রদের মধ্যে তৃতীয় ও ছোট। রনির বয়স ৭/৮ মাস বয়সেই বাবা আনোয়ার হোসেন হার্টের অসুখে গত ২১/০৮/১৯৯৭ইং রংপুর মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরন করলে শিশু রনি তার মা মোছাঃ রওশানারা বেগমসহ তার আপন পৈত্রিক ভিটায় উঠতে পারেন নি। মা রওশানারা বেগম ও স্থানীয় লোকমুখে জানা যায় মৃত আনোয়ার হোষেনের বড় ভাই সহঃ প্রকৌশলী আজিজুল ওরফে আবদুল্লাহ বর্তমান কর্মস্থল ঠাকুড়গাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রৌকশলীর অফিসে সহঃ প্রকৌশলীর দায়িত্বে কর্মরত এবং তার স্ত্রী মোছাঃ রাহেনা বেগম বর্তমান কর্মস্থল সহকারি শিক্ষিকা দক্ষিন মুলাটোল সরকারি প্রাথমিক মডেল বিদ্যালয় এবং উভয়ে রংপুর খামার বাড়ির সামনে নিজস্ব ক্রয়কৃত বাড়িতে বসবাস করছেন। শিশু এতিম রনির ভরনপোষন বিষয়ে তৎসময়ে অনেককে দিয়ে দেনদরবার হাতেপায়ে ধরেও কোন সদুত্তর বা সাহায্য আসেনি বরং হুমকিধামকি জীবনে মেরে ফেলার হুমকি নিয়ে মা রওশানারা ৮ মাসের এতিম শিশুকে নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরুকরলে রওশানার বাবা ও অভিভাবকমহল মেয়ের ভবিষ্যত জীবন ও শিশু রনির নিরাপত্তার কথা ভেবে পার্শ্ববর্তি গ্রামের যুবক মন্জু মিয়ার সাথে বিবাহ দেন। মন্জু মিয়া মানুষের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে ম্যানেজারের চাকুরি করে অতিকষ্টে রনিকে পড়াশুনা করাতে গিয়েও পদে পদে হিমশিম খান। বর্তমান সংসারে আরো ২ পুত্র সন্তান সহ ৩ পুত্রসন্তান নিয়ে তাদের কোনরকমে জীবনযাপন চলছে। রনি উলিপুর এমএস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১২ সালে ৪.৫০ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাশ করে ২০১৩ সালে রংপুর আইটি ইনস্টিটিউট এ সিভিল ইন্জিঃ ডিপ্লোমা ভর্তি হয়ে ৩ সেমিষ্টার পর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে রনি আর পড়াশুনা এগিয়ে নিতে পারেনি। বর্তমানে মেধাবী এই ছাত্রের লেখাপড়া একদম বন্ধ। অথচ রনির পৈত্রিক দাদার সম্পত্তির ১১.২২ একর এর মধ্যে তার ভাগের সম্পদের পরিমান প্রায় ৩.৫০ একর। রনি ১৯ বছর বয়সে টাকার  অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হলে বাধ্য হয়ে সে তার পৈত্রিক অধিকারভুক্ত সম্পত্তি উদ্ধারের  চেষ্টা করলে চাচা আজিজুল জীবন নাশের হুমকি পুনরায় দিলে আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে। রনির পড়াশুনা ও বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টায় স্থানীয় সাংসদের ভাই ও প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম দারা গত বৎসর স্থানীয় সামাজিক চাপ সৃষ্টি করে এতিমের হক ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মিটিং আহবান করলে ১ম ধাপ মিটিং এ উপস্থিত হলেও পরবর্তী তারিখের মিটিং এ জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হবার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তবে ঐ মিটিংএর পর থেকে মানসিক চাপ পাচ্ছেন বলে ইন্জিঃ আজিজুলের নিজস্ব এক মাধ্যমে নিশ্চিত করলেও স্থানীয় সুত্রে তার বিরুদ্ধে মৃত ভাইয়ের ভাগের বেশ কিছু জমি অজ্ঞাত আকবর হোষেন নামে কিছু জমি ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা রাহেনা বেগমের নামে বেশ কিছু জমি রেকর্ডভুক্ত করে  জমি বিক্রী ও করেছেন। রনির মা  অভিযোগ করে বলেন ইন্জিনিয়ার আজিজুল তার ছেলে রনিকে মোবাইলে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অপরদিকে মৃত হোষেন আলী ব্যাপারীর মোট জমির পরিমান ১১ একর ২২ শতক জমির দলিল দস্তাবেজ থাকলেও ভুমিদস্যু ও এতিম হক নষ্ট কারি আজিজুল নিজ দখলে জোড়পুর্বক সম্পত্তি থাকার পরও অতিশয় চতুরতার উদ্দেশ্যেই গত ২৭/০৩/২০১৭ ইং কুড়িগ্রাম সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা করে যা মাত্র ৫.৬০ একর জমি ( প্রায়) মোকদ্দমা নং ৬৪/২০১৭ইং। বাটোয়ারা মামলায় আদালতে যাওয়ায় কেউ কেউ মনে করছেন যাতে মৃত আনোয়ারের এতিম পুত্রের ২১ বৎসরের বঞ্চিত হক সম্পত্তি ফিরে পেতে অনেক দেরি ও ঝামেলা পোহাতে হয় সে কারনেই সামাজিক বা স্থানীয় সালিশের পথ বন্ধ করতেই নিজ দখলীয় ও ভোগকৃত জমি হবার পরও বাটোয়ারা আইনী প্রক্রিয়া হলেও বিলম্বিত করতে তা  করা হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় অভিযোগ আজিজুল সামান্য সহকারী প্রকৌশলীর চাকুরি করে অথচ তার আয় বহির্ভূত অজ্ঞাত উপার্জন করার প্রমান  প্রচুর অর্থ প্রাচুর্য্য থেকে স্পষ্ট দুর্নীতির আলামত পাওয়া যাবে। রনির মা স্মৃতিচারন করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন, স্বামী মারা গেছেন মরদেহ জানাজা কবরস্থ করার দিনেই নিজের ঘড়ে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা দেয়া, তিনি ছেলেসহ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে অদ্যবধি অনেক ত্যাগ কষ্টের বিনিময়ে ছেলেকে বড় করে তুলেছেন। এদিকে এ রিপোর্ট করার পুর্ব পর্যন্ত ভুমিখেকো এতিমের হক তসরুফকারী হিসেবে রনির অভিযুক্ত ইন্জিনিয়ার  আজিজ্লু হককে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সুইচ অফড পাওয়া গেছে।উলিপুরের সচেতন মহল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে এতিম রনির অধিকার আদায় এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে মা রওশানারা বেগম সহযোগীতা চেয়েছেন

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 1580492687536776093

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item