কেউ কথা রাখেনি,জলঢাকায় অর্ধশত বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রীজ
https://www.obolokon24.com/2017/04/jaldhaka_27.html
মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর জলঢাকা গোলমুন্ডা ইউনিয়নে ধুম নদীর উপর অর্ধশত বছরেও নির্মান হয়নি এলাকার মানুষের স্বপ্নের ব্রীজ। এখনো বাঁঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয় জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের শ্যামপুর ও চৌধুরীপাড়া এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী ডিমলা, ডালিয়া চাপানী এলাকার ২০ হাজার জনসাধারণকে। এখানে যেন পশ্চিমবঙ্গের কবি সুনিল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কালজয়ী কবিতার চরন স্মরন করিয়ে দেয় এখানকার মানুষের মনে। ‘৩৩ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি’। এ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র সাঁকো। দুইপারের সেতু বন্ধনে এই সাঁকোটি র্দীঘদিন থেকে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছরেও এলাকার মানুষজন পায়নি আশার আলো।
অনেক এমপি কথা দিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানান, ওই এলাকার সত্তোরদ্ধ আজিজুল হক। জামিনুর, হাসানুর রহমান, আবেয়া খাতুন, জিন্নাতুন নেছা এরা জানায়, আমাদের দুপারের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি। বর্ষার সময় সাঁকো ভেঙ্গে গেলে আমাদেরকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে পাকা রাস্তার উঠতে হয়। তারা আরও জানান, ওপার হতে বিভিন্ন ফসল আনা-নেওয়া করতে আমাদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হয় বর্ষাকালে। শ্যামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, মতিউর রহমান ও স্বপন বলেন, বর্ষাকালে পানির স্রোতে সাঁকোটি ভেঙ্গে গেলে আমরাই এলাকার লোকজন মিলে চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পুনরায় মেরামত করি। গোলমুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা সদ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া জেলা পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, সরকারের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের এ ব্রীজটি খুবই জরুরী। গোলমুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হোসাইন বলেন, দীর্ঘকাল থেকে শুনে আসছি ব্রীজটি হবে। কিন্তু কেন হচ্ছে না? তা আমার বোধগম্য নয়। উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ৬০ মিটারের ব্রীজটি নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। তিনি আরও জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় এরই মধ্যে প্রস্তাবনা আকারে ডিপিপিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্রীজটি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছি।