ডোমারে ১০টাকার চাউলের কার্ডে অনিয়মের অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2017/04/domar_57.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
হতদরিদ্রদের নামে রেশন কার্ড। অথচ অনেক অসহায় হতদরিদ্রদের নামে নেই রেশন কার্ড। এ নিয়ে একাধিকবার কার্ড সংশোধনী করা হলেও এখনও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল কম দেওয়া, একাধিকনাম ও জমিজমার মালিকের নামে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানাযায়,নীলফামারী জেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ও জমিজমার মালিকের নামে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগে জানাযায়,এলাকার ৪৩২ নং কার্ডের পুলেন চন্দ্রের ৪ বিঘা জমি৪৩৩ নম্বর কার্ডের হিরম্ব রায়ের ৩ বিঘা,৪৮৭ নং কার্ডের পলাশ চন্দ্রের ৪ বিঘা জমিসহ এরকম আরো একাধিক ব্যাক্তির নামে কার্ড রয়েছে। তাছাড়া একই নামে ১৫২১ ও ৭৭২ নং কার্ডের নেহার বানুর ,৪৬৪ ও ৭৪৯ নং কার্ডের রবিন্দ্র নাথের নামে দুটি করে কার্ড রয়েছে।
অথচ এলাকার অসহায় নবির ,জাহেরুল,সুরুজ্জামান,বাবু রাম,দুধ কুমার,রবীন্দ্রনাথ,ক্ষীর প্রসাদসহ আরো অনেক অসহায় ও হতদরিদ্রদের নাম দেওয়া হয়নি ১০টাকার কার্ডে।
এ ব্যাপারে ৭ নং ওয়ার্ডের বসুনীয়া পাড়ার ভিক্ষুক মটরের স্ত্রী সামিনা বেগম (৩০) জানান,আমরা মানুষের জমিতে থাকি । আমার স্বামী কাজ করতে পারে না ,বুদ্ধিশুদ্ধি কম।দুই ছেলে ।সাওন (৭),শাহিনুর (১১)। বিধবা ননদও একজন আছে ।ভিক্ষা করে আমার স্বামী সংসার চালায় ।আমিও মানুষের বাড়ীতে কাজ করি । মেম্বারের কাজে ১০ টাকার চাউলের কার্ড চাইলে বলে তোমরা ভোট দেন নাই,তোমার কার্ড নাই ।
এলাকার অনেক গরীব মানুষ সাংবাদিকদের জানান,আমরা কষ্ট করে সংসার চালাই অথচ আমাদের সরকারী কোন সুবিধা দেওয়া হয়না। যারা বড়লোক এলাকায় জমিজমা রয়েছে,মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ায় তাদের দেওয়া হয় সরকারী সুবিধা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান বলেন,তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ষড়যন্ত্রমুলক। তিনি বলেন আমি যাদের কার্ড দিয়েছি তারা সকলেই গরীব।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মুত্যুঞ্জয় অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৩৭ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৮,৬৮৫ জন তালিকাভুক্ত ভোক্তার মধ্যে মাসিক ৩০ কেজি হাওে চাল বিক্রি করা হচ্ছে ।ভোক্তারা কিনবেন ১০ টাকা দিয়ে ।প্রত্যেক বছরের ( সেপ্টেম্বও হতে নভেম্বও এবং মার্চ থেকে এপ্রিল ) পাচঁ মাস বিতরন কার্যক্রম চলবে ।প্রতি সোম, মংগল, বুধবার সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা পযর্ন্ত দোকান খোলা থাকবে ।
তিনি আরো জানান,একই ব্যাক্তির নামে দুটি কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, যেসব ব্যাক্তির নামে অভিযোগ রয়েছে তাদের নাম বাদ দিতে বলেছি।