চিলাহাটীতে ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে দিশেহারা কৃষক
https://www.obolokon24.com/2017/04/blast.html
এ আই পলাশঃ
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীতে বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে ধান ক্ষেত পুড়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকরা কীটনাশক প্রযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছেনা। কৃষকরা বলছে আর দু সপ্তাহ পরে তারা ধান কাঁটা মারাই শুরু করবে। কিন্তু শেষ মুহুত্বে ধানের যে অবস্থা তাতে তাদের ফলন বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের দাবি ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে কৃষকদের মাঝে কৃষকদের করনীয় শীর্ষক ২০ হাজার লিফলেট বিতরন সহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।ডোমার উপজেলায় এই ইরি বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণেই রোপনকৃত ধান ক্ষেতে ব্লাষ্ট ও পাতা পোড়া রোগ দেখা দেয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শত শত কৃষকের সঙ্গে আলাপকালে তারা শুধু ধান ক্ষেতের দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আজ তাদের বুকভরা আর্তনাদ সংসারের শেষ সম্বল গরু, ছাগল হাঁস, মুরগী বিক্রি করে এমনকি এলাকার দাদন ব্যবসায়িদের কাছে চড়া সুদের ওপর টাকা নিয়ে ক্ষেতে ধান লাগিয়েছে। অথচ আজ বিঘা প্রতি ১৬-২০ মণের জায়গায় ৫ মণ ধানও ঘরে তুলতে পারছে না। স্ত্রী, সন্তান ও পরিজন নিয়ে আজ তারা হতাশাগ্রস্থ। এ ব্যপারে ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর ইকবাল এর সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এই ইরি মৌসুমে ১৩৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ মাত্রার কোন অসুবিধা হবে না। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ব্রি-২৮ জাতের ধান ক্ষেতে এই পাতা পোড়া ও ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টায় কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ধান ক্ষেত দেখে কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছি। তবে তিনি জানান ধান ক্ষেতে ঔষধ প্রয়োগের পূর্বেই পুড়ে যাওয়া শীষগুলো কেটে ফেলে দিয়ে সেই ক্ষেতে ঔষধ প্রয়োগ করলেই আর ক্ষেত নষ্ট হবে না। এ ব্যাপারে প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে যোগযোগ রাখছেন বলে উপজেলা কর্মকর্তা জানান।