কিশোরগঞ্জে ডাটাবেইজ শুমারী ২০১৭ বাস্তবায়নে গননাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত আসন্ন ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেইজ শুমারী ২০১৭ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গননাকারী ও সুপারভাইজার পদে টাকার বিনিময়ে  লোক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা শুমারী জরিপ কমিটির সভায়  পুটিমারী ইউনিয়নের জোনাল অফিসার ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানকে  টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান।
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সুত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ এপ্রিল থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার খানা তথ্যভান্ডার শুমারীর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সুপার ভাইজার পদে ৬৯ জন ও গননাকারী পদে ৩৬৮ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ইউনিয়নে ১১ জন জোনাল অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী জোনাল অফিসারগন প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করে যোগ্য লোক নিয়োগ করবে। কিন্তু পুটিমারী ,ও নিতাই ইউনিয়নের জোনাল অফিসারগন চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ না করে ৫ শত করে টাকা নিয়ে  তাদের পছন্দমত লোক নিয়োগ করে।বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে জরিপ কমিটির সভায় পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন ও উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান এসব অনিয়মের কারনে ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে সভা ত্যাগ করে বেড়িয়ে যেতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান চেয়ারম্যানদের দাবির পেক্ষিতে পরীক্ষার মাধ্যমে গননাকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিলে চেয়ারম্যানরা শান্ত হন। এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের  দায়িত্বপ্রাপ্ত জোনাল অফিসার ও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে বুধবারের মধ্যেই গননাকারী (প্রার্থীদের) টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উপ পরিচালক বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জেলা শুমারী সমন্বয় কারী মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী মোঃ সাইদুর রহমান, জে এস এ জোনাল অফিসার মমতাজ উদ্দিন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত জোনাল অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দিতে চেয়েছি। তারা যাতে কাজ ছেড়ে মাঝপথে পালিয়ে না যায় সে জন্য আমি প্রার্থীদের কাছে ৫শত টাকা করে জামানত নিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জেলা শুমারীর সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, গননাকারী ও সুপারভাইজার  নিয়োগে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার কোন বিধি বিধান নেই। তিনি যে কাজটি করেছেন তা ভাল করেননি।তবে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে টাকা ফেরৎ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8454025149817951492

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item