ডোমারে ১৭টি চোরাই গরু উদ্ধার

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),আনিছুর রহমান মানিক-
নীলফামারীর ডোমারে ১৭টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ । আজ বুধবার দুপুরে উদ্ধারকৃত গরুগুলি ডোমার থানায় আনা হয়েছে ।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণচড়া গ্রামের  কৃষ্ণ মনের পুত্র দুলাল (৩৫) গত মংগলবার ভোর রাতে একটি গরু নিয়ে বাড়ীতে প্রবেশকালে গরুর পায়ের শব্দে টের পায় প্রতিবেশীরা । অসংলগ্ন কথাবাতার্য় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে স্থানীয় ইউপি পরিষদে গরুসহ সোপর্দ করে তাকে ।পুলিশ ও এলাকবাসীর জেরায় দুলাল জানায়, আমি মোমিনুরের ( একই এলাকার আনছার আলী পুত্র) কাছে ২০ হাজার টাকায় (যার আনুমানিক মুল্য ৪০ হাজার ) কিনেছি ।ওর কাছে আরো গরু আছে । রাতেই  অভিযানে ১৭টি গরু উদ্ধার করে ডোমার থানা পুলিশ । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোমিনুর ও তার পরিবার পালিয়ে যায় ।
ঘটনায় হৈচৈ পড়ে গেলে চুরি যাওয়া গরুর শত শত মালিক ভীড় করতে থাকে এলাকায়।১১ টি গরু সনাক্ত করে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা ।এলাকাবাসীর ধারনা,মোমিনুরের আরো অর্ধ শতাধিক গরু আদি দেওয়া আছে বিভিন্ন লোকের বাড়ীতে ।
চুরি যাওয়া গরুর মালিক একই ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের রবির পুত্র বিশাদু(৩৫) জানান,সাত মাস আগে গোয়াল ঘর থেকে রাতে চারটি গরু চুরি যায় ।অনেক খোজাখুজি করেছি, পাইনি ।এই গরুগুলির মধ্যে তিনটি আমার গরু আছে ।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোটরাউতার ডাংগা পাড়ার হাচান আলীর পুত্র এমদাদুল হক (৪৫) জানান,চার মাস আগে গোয়ালঘর থেকে রাতে দুইটি গরু চুরি যায় ।থানায় এজাহার করেছি ।গরু পাইনি ।এর মধ্যে আমার দুটি গরু আছে ।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার উপ- পরির্শক নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গতকালই (মঙ্গলবার) জেরার মুখে জানতে পেয়ে মোমিনুরের বাড়ীতে রাতে অভিযান চালালে ১৬টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছি ।সব মিলে ১৭টি গরু ।এ পযর্ন্ত ১১ টি গরু সনাক্ত করেছে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা ।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার ওসি মোকছেদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গরুগুলি চোরাই ।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4057979996848439579

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item