স্কুল ছাত্রী অপহরণ বিয়ে তালাক অতঃপর মামলা

মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ 

পীরগঞ্জের দশমৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষনের পর মামলা থেকে রক্ষা পেতে অপহৃতাকে বিয়ে ও পরে তালাক দেয়ায় ঘটনায় গত ২ জানুয়ারী থানায় মামলা হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বরের উপজেলার মোজাফ্ফরপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
মামলা, এলাকাবাসি ও ধর্ষিতার পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁছগাছী ইউনিয়নের বর্ণিত গ্রামের কৃষক আজিজার রহমানের সুন্দরী কিশোরী কন্যা আফরিন ফেরদৌসি (১৪)। ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ৩নং রোলধারী মেধাবী ছাত্রী। বিদ্যালয়েই ৮ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় কোচিং করতে গিয়েই পরিচয় ঘটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মেজবাহ হামিদুল্লাহ ওরফে শুভ প্রধানের সাথে। সে পার্শ্ববর্তী আছমতপুর গ্রামের খাজা নাজিমুদ্দিন প্রধানের ছেলে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ীতে এলেই শুভ প্রধান ওই ছাত্রীকে উত্যাক্ত করত। বিষয়টি পিতা-মাতাকে জানালে আফরিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শুভ প্রধান। এরই জের ধরে গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে স্কুল থেকে প্রাইভেট শেষে বাড়ী ফেরার পথে পানেয়া গ্রামের জনৈক্য রেজাউল ইসলামের বাড়ীর অদূরে পৌছালে শুভ প্রধান তার ২/৩জন বন্ধুসহ সিএনজি যোগে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। ওই সময় আফরিনের বাবা আজিজার রহমান বিষয়টি পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এদিকে ঘটনার ৬দিন পর আকস্মিকভাবে শুভ প্রধানের বাবা খাজা নাজিম উদ্দিন, বোন সুমি আক্তার এবং মামা জাইদুল ইসলাম আফরিনকে পীরগঞ্জ থানায় পৌছে দেয়। এরআগে আফরিনের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি লিখে নেয়। অপহৃতা আফরিন সাংবাদিকদের জানায়‘ অপহরনের পর আমাকে ঢাকায় একটি বাসায় নেয়। সেখানে আমাদের বিয়ে হলে আমরা ওই বাসায় দুদিন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে অবস্থান করি। সেখান থেকে অপর একটি বাসায় আমাকে নিয়ে যায়। সেখানেও আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করাকালীন জানতে পারি বাসাটি শুভ প্রধানের দুলাভাই নাসিম আহ্মেদের। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিবের পিএস। এখানে ২/৩দিন থাকার পর আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক তালাকের কাগজে স্বাক্ষর ও জবানবন্দি লিখে নেয়। এরপর শুভ আমাকে বাড়ী যাবার কথা বলে পীরগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানরত শুভ প্রধানের বাবা খাজা নাজিম উদ্দিন, বোন সুমি আক্তার এবং মামা জাইদুল ইসলামের কাছে পৌছে দিয়ে কৌশলে কেটে পড়লে অবস্থানরতরা আমাকে পীরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। শুভ প্রধানের বাবা খাজা নাজিমুদ্দিন ও মা হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের জানায়‘ ছেলে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। শুনেছি আফরিনের সাথে শুভ প্রধানের বিয়ে ও পরে তালাকও হয়েছে। আফরিন আমাদেরকে জবানবন্দি লিখে দিয়েছে। শুভ প্রধানের দুলাভাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিবের পিএস নাসিম আহ্মেদের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান‘ আফরিনকে আমি চিনি না আর আমার বাসায় আসার প্রশ্নই উঠে না এ অভিযোগ বানোয়াট। তবে থানায় বৈঠকের কথা আমি জানি। শুভ প্রধান আমার শ্যালক। ওসি রেজাউল করিম জানান‘ এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি ততপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন‘ থানায় মামলা করায় আসামীর লোকজনরা তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1988623165583469764

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item