প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ১৩ মাসেও শুরু হয়নি সেতুর কাজ!
https://www.obolokon24.com/2017/01/rangpur_399.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ১৩ মাস পূর্ন হলেও পীরগঞ্জের একটি সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয়নি। শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি চালাচালিতেই চলে গেছে ওই সময়। তবে রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভে করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ম সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৬, পীরগঞ্জে আসেন। ওইদিন তিনি টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে করতোয়া নদীর জয়ন্তীপুর ঘাটে একটি সেতু নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন। প্রতিশ্র“ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগ থেকে রংপুর সওজ’কে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ৯ ফেব্র“য়ারী/১৪ রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম পীরগঞ্জ (গোপীনাথপুর)-জয়ন্তীপুর ঘাট-বিরামপুর সড়কের ২য় কিলোমিটারে উল্লেখিতস্থানে ১টি সেতু নির্মানের লক্ষে রংপুর সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি প্রেরন করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে একটি বেসরকারী ফার্ম দিয়ে সেতুর স্থান ‘জয়ন্তীপুরঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীতে’ ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভে করা হয়। পরে সার্ভে রিপোর্টটি সেতুর ডিজাইন ও নক্সা প্রনয়ণের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঢাকায় সড়ক ভবনের সেতু ডিজাইন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করা হয়। আজও তার প্রতি উত্তর আসেনি বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে পীরগঞ্জ উপজেলার সাথে নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলাসহ হিলি, জয়পুরহাট এবং গোবিন্দগঞ্জ-বিরামপুর-ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের সৈয়দপুর, মহারাজপুর, মাহমুদপুর গ্রামসহ ওই এলাকার হাজারো মানুষ এবং রংপুরের মানুষজন হিলি সীমান্তে জয়ন্তীপুর ঘাট দিয়ে যাতায়াত করছে। জয়ন্তীপুর ঘাটে শুকনো মওসুমে প্রায় দেড়’শ মিটার বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মওসুমে নদীর পানি বেশী হয়ে দুরুত্ব বেড়ে গেলে দু’টি নৌকার উপর বাঁশের চাটাই দিয়ে সেটি স্যালোমেশিনের সাহায্যে সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা-ভ্যানযোগে মালামালসহ হাজারো মানুষ শত শত বছর ধরে পারাপার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, যোগাযোগের অভাবে অনেক মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারাও যাচ্ছে।
সুত্র আরও জানায়, সেতুটি নির্মানের ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ আব্দুল মালেক তার দপ্তরের স্মারকে গত ২৫/০২/০৪ তারিখে একটি চিঠি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবকে দেন। এরপর ৮ এপ্রিল যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের ডিপিপি প্রক্রিয়াঃ’র সহকারী প্রধান কামরুন নাহার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি চিঠি দিলে সেটি ৯ এপ্রিলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, রংপুর জোন, ব্রীজ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর ওই চিঠিই ২২ এপ্রিল রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী জরুরী ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী-১ কে নির্দেশ দেন।
এদিকে প্রস্তাবিত সেতুটির (নদী) উভয়পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সওজ কে হস্তান্তর না করলে সেতুর নির্মান প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে যাবে বলে জানা গেছে। চিঠি চালাচালি আর রাস্তা হস্তান্তর জটিলতা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আজ ১৫ জুন সাড়ে ৫ মাস সময় পূর্ন হলো। তারপরও সেতু বাস্তবায়নে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রংপুর সওজ’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা একটি বেসরকারী ফার্মের দ্বারা ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভের মাধ্যমে জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু এলাকার মাটি পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু’র মতই ডিজাইন, পরিকল্পনা ও একই বরাদ্দ করে সার্ভের রিপোর্ট ঢাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরন করা হয়েছে। রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেয়া মাত্র আমরা স্থানীয়ভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে রেখেছি। এখন সঙীশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ যত দ্রুত হবে কাজও তত দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জ সড়কে করতোয়া নদীর কাঁচদহ ঘাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে একটি সেতু নির্মান করায় গাইবান্ধার সাথে দিনাজপুরের সড়কপথে যোগাযোগে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা কমে এসেছে। ওই ব্রীজের মতই প্রধানমন্ত্রী জয়ন্তীপুর ঘাটে ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ১৩ মাস পূর্ন হলেও পীরগঞ্জের একটি সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয়নি। শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি চালাচালিতেই চলে গেছে ওই সময়। তবে রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভে করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ম সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৬, পীরগঞ্জে আসেন। ওইদিন তিনি টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে করতোয়া নদীর জয়ন্তীপুর ঘাটে একটি সেতু নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন। প্রতিশ্র“ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগ থেকে রংপুর সওজ’কে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ৯ ফেব্র“য়ারী/১৪ রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম পীরগঞ্জ (গোপীনাথপুর)-জয়ন্তীপুর ঘাট-বিরামপুর সড়কের ২য় কিলোমিটারে উল্লেখিতস্থানে ১টি সেতু নির্মানের লক্ষে রংপুর সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি প্রেরন করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে একটি বেসরকারী ফার্ম দিয়ে সেতুর স্থান ‘জয়ন্তীপুরঘাট ও সংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীতে’ ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভে করা হয়। পরে সার্ভে রিপোর্টটি সেতুর ডিজাইন ও নক্সা প্রনয়ণের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঢাকায় সড়ক ভবনের সেতু ডিজাইন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রেরণ করা হয়। আজও তার প্রতি উত্তর আসেনি বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে পীরগঞ্জ উপজেলার সাথে নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলাসহ হিলি, জয়পুরহাট এবং গোবিন্দগঞ্জ-বিরামপুর-ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের সৈয়দপুর, মহারাজপুর, মাহমুদপুর গ্রামসহ ওই এলাকার হাজারো মানুষ এবং রংপুরের মানুষজন হিলি সীমান্তে জয়ন্তীপুর ঘাট দিয়ে যাতায়াত করছে। জয়ন্তীপুর ঘাটে শুকনো মওসুমে প্রায় দেড়’শ মিটার বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মওসুমে নদীর পানি বেশী হয়ে দুরুত্ব বেড়ে গেলে দু’টি নৌকার উপর বাঁশের চাটাই দিয়ে সেটি স্যালোমেশিনের সাহায্যে সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা-ভ্যানযোগে মালামালসহ হাজারো মানুষ শত শত বছর ধরে পারাপার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, যোগাযোগের অভাবে অনেক মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারাও যাচ্ছে।
সুত্র আরও জানায়, সেতুটি নির্মানের ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ আব্দুল মালেক তার দপ্তরের স্মারকে গত ২৫/০২/০৪ তারিখে একটি চিঠি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবকে দেন। এরপর ৮ এপ্রিল যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সড়ক বিভাগের ডিপিপি প্রক্রিয়াঃ’র সহকারী প্রধান কামরুন নাহার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি চিঠি দিলে সেটি ৯ এপ্রিলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, রংপুর জোন, ব্রীজ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর ওই চিঠিই ২২ এপ্রিল রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী জরুরী ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী-১ কে নির্দেশ দেন।
এদিকে প্রস্তাবিত সেতুটির (নদী) উভয়পাশে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সওজ কে হস্তান্তর না করলে সেতুর নির্মান প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে যাবে বলে জানা গেছে। চিঠি চালাচালি আর রাস্তা হস্তান্তর জটিলতা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর আজ ১৫ জুন সাড়ে ৫ মাস সময় পূর্ন হলো। তারপরও সেতু বাস্তবায়নে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রংপুর সওজ’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন- প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা একটি বেসরকারী ফার্মের দ্বারা ডিজিটাল টপোগ্রাফিক্যাল সার্ভের মাধ্যমে জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু এলাকার মাটি পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেতুটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু’র মতই ডিজাইন, পরিকল্পনা ও একই বরাদ্দ করে সার্ভের রিপোর্ট ঢাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরন করা হয়েছে। রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেয়া মাত্র আমরা স্থানীয়ভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে রেখেছি। এখন সঙীশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ যত দ্রুত হবে কাজও তত দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-পীরগঞ্জ-নবাবগঞ্জ সড়কে করতোয়া নদীর কাঁচদহ ঘাটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে একটি সেতু নির্মান করায় গাইবান্ধার সাথে দিনাজপুরের সড়কপথে যোগাযোগে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা কমে এসেছে। ওই ব্রীজের মতই প্রধানমন্ত্রী জয়ন্তীপুর ঘাটে ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন।