৬৯ জনের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা

 মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে খেদমতপুর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের  ব্যবস্থাপকসহ সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ১৯৯১ সালে ১১ মার্চ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন রামনাথপুর, চতরা ও কাবিলপুর ইউনিয়নকে নিয়ে খেদমতপুর বাজারে রাকাব শাখাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই শাখার ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীদের ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে গাফিলতি থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খেদমতপুর বাজার থেকে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বন্দরে ব্যাংকটি স্থানান্তর করেন। অপরদিকে রাকাব শাখা ব্যবস্থাপক আঃ ফাত্তাহ ১৩ আগস্ট ২০১৫ সালে যোগদান করার পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে আসছেন। ওই শাখায় বর্তমানে ১০ কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে পড়েছে। এদিকে দিনে-দিনে কৃষককের কাঁধে সুদ আসলে ঋণের বোঝা পাহাড় সমান হয়ে গেছে, তখন দায় এড়াতে ব্যবস্থাপক কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা দিয়ে সাপ-বেজির খেলায় মেতে উঠেছেন। গত বছরের ১ জুলাই  থেকে চলতি বৎসরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩’শ কৃষক ও ব্যবসায়ীকে কৃষি, পশু পালন, হাঁস-মুরগী খামার কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ মোট ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা রয়েছে তার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ঋণ আদায় দেখানো হয়েছে। যা আদায় করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইতি মধ্যে ব্যাংক ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে ৬৯ জন ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়েরসহ ২ শতাধিক ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদান করেছেন। এদিকে ১৪ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাস ব্যাপী নবান্ন উৎসব ঋণ আদায় নির্ধারন করা হলেও ওই ব্যাংকটি নামে মাত্র কয়েক জন ঋণ পরিশোধ করেছেন বলে জানা গেছে। ব্যবস্থাপক এবং সুপার ভাইজারের সাথে ঋণ গ্রহীতাদের গোপন সম্পর্ক থাকায় মুলতঃ বকেয়া আদায় কার্যক্রমের মুখ থুবড়ে পড়েছে। একারণে ব্যাংকটি বর্তমানে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে চলেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপক আঃ ফাত্তাহ জানান শুরু থেকেই ব্যাংকটি লোকসানে তবে আদায়ের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1416758353221703771

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item