আজ পীরগঞ্জ মুক্ত হানাদার দিবস
https://www.obolokon24.com/2016/12/rangpur_53.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ
আজ মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে থানা হানাদার মুক্ত দিবস। পীরগঞ্জ উপজেলার ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে এ দিনটি। মূলত পীরগঞ্জ থানা শত্র“মুক্ত হয় ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে। শত্র“ পক্ষের অন্ধকার যবনিকা কেটে দিয়ে সূর্যোদয়ের পরপরই বহু প্রতীক্ষিত এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। পরদিন ৬ ডিসেম্বর হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী নারী-পুরুষ দীর্ঘদিনের কষ্ট-ক্লেশ ভূলে গিয়ে বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। তাই ৬ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ থানা শত্র“মুক্ত হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী প্রবীণদের মতে আগে থেকে রাজাকার ও পাক সেনাদের আস্তানা ছিল পীরগঞ্জ থানা সদরে। ৫ ডিসেম্বর বিকালে মিত্র বাহিনীর জলপাই রংয়ের ট্যাং বহর ছুটে আসে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পেরিয়ে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর হয়ে খরস্রোতা করতোয়া নদী পেরিয়ে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা পীরগঞ্জ থানার পশ্চিমাঞ্চলের খালাশপীর, কাদিরাবাদ ও ত্রি-মহোদী ব্রিজের আশপালে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের পূর্বে এলোপাতাড়ি গোলা বর্ষণ শুরু করে পীরগঞ্জ থানা সদরে অবস্থানরত পাক সেনাদের আস্থানার ওপর। মিত্র বাহিনীর উপর্যুপরি আক্রমণের একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পাক সোনারা পিছু হটতে শুরু করে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পাক সেনাদের একটি অংশ রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন একটি অংশ অস্ত্র ও পোশাক খুলে হেঁটে মিঠিপুর ইউনিয়নের গ্রামীণ পথ ধরে পালিয়ে যায় পূর্বাঞ্চলে। মাদারগঞ্জের কাছাকাছি গিয় এরা জনগণের হাতে ধরা পড়ে নাজেহাল হয়। এদিকে গর্বভরে বীরদর্পে ধীর গতিতে এগিয়ে আসে মিত্র বাহিীনর সাঁজোয়া বাহনী। একপর্যায়ে গোলার আওয়াজ থেমে যায়। গভীর রাতেই মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর জোয়ানরা পীরগঞ্জ থানা সদরে প্রবেশ করে বিজয়ের বেশে।
আজ মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর রংপুরের পীরগঞ্জে থানা হানাদার মুক্ত দিবস। পীরগঞ্জ উপজেলার ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে এ দিনটি। মূলত পীরগঞ্জ থানা শত্র“মুক্ত হয় ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে। শত্র“ পক্ষের অন্ধকার যবনিকা কেটে দিয়ে সূর্যোদয়ের পরপরই বহু প্রতীক্ষিত এ সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। পরদিন ৬ ডিসেম্বর হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী নারী-পুরুষ দীর্ঘদিনের কষ্ট-ক্লেশ ভূলে গিয়ে বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। তাই ৬ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ থানা শত্র“মুক্ত হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী প্রবীণদের মতে আগে থেকে রাজাকার ও পাক সেনাদের আস্তানা ছিল পীরগঞ্জ থানা সদরে। ৫ ডিসেম্বর বিকালে মিত্র বাহিনীর জলপাই রংয়ের ট্যাং বহর ছুটে আসে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পেরিয়ে। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর হয়ে খরস্রোতা করতোয়া নদী পেরিয়ে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা পীরগঞ্জ থানার পশ্চিমাঞ্চলের খালাশপীর, কাদিরাবাদ ও ত্রি-মহোদী ব্রিজের আশপালে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের পূর্বে এলোপাতাড়ি গোলা বর্ষণ শুরু করে পীরগঞ্জ থানা সদরে অবস্থানরত পাক সেনাদের আস্থানার ওপর। মিত্র বাহিনীর উপর্যুপরি আক্রমণের একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পাক সোনারা পিছু হটতে শুরু করে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পাক সেনাদের একটি অংশ রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন একটি অংশ অস্ত্র ও পোশাক খুলে হেঁটে মিঠিপুর ইউনিয়নের গ্রামীণ পথ ধরে পালিয়ে যায় পূর্বাঞ্চলে। মাদারগঞ্জের কাছাকাছি গিয় এরা জনগণের হাতে ধরা পড়ে নাজেহাল হয়। এদিকে গর্বভরে বীরদর্পে ধীর গতিতে এগিয়ে আসে মিত্র বাহিীনর সাঁজোয়া বাহনী। একপর্যায়ে গোলার আওয়াজ থেমে যায়। গভীর রাতেই মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর জোয়ানরা পীরগঞ্জ থানা সদরে প্রবেশ করে বিজয়ের বেশে।