রংপুরের খাঁ টারী জামে মসজিদ কমিটির কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ও গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী দুটি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বেতগাড়ী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত খা টারী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গত ২৪/১১/২০১৬ ইং গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত খা টারী জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অভ্যন্তরিন বিরোধ অপ্রতিকর ঘটনা এবং সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে বর্ণিত মসজিদ কমিটির সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। সেই সাথে বর্তমান কমিটিকে দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি রংপুর জেলা প্রশাসক, গংগাচড়া মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি), বেতগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও খা টারী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির উপর করণীয় নির্ধারনের জন্য অনুরোধ করেছেন। জানাগেছে খাঁ টারী  গ্রামের বাসিন্দা মরহুম গবির উদ্দিনের পুত্র বিশিষ্ট সমাজ সেবক ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি নছির উদ্দিন গ্রামের নামায বন্দেগীর পালনের লক্ষ্যে ১৯৩০-৩৫ সালে গ্রামের বেতগাড়ী মৌজার ২০ শতক জমি দান করে সেখানে খাঁ টারী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর তার পরিচালনায় গ্রামের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসল্লীরা সেখানে নির্বিঘেœ নামায আদায় করে আসছে। দাতা প্রতিষ্ঠাতা নছির উদ্দিন ১৯৯০ সালের পূর্বে তিনি মৃত্যু বরণ করলে উক্ত মসজিদটির পরিচালনার জন্য সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহন করেন মরহুম তছলিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ তবারক হোসেন লেবু মিয়া। তবারক হোসেন লেবু মিয়া দীর্ঘ ২৫/৩০ বৎসর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালীন মসজিদের কোন সংস্কার তথা পুনঃনির্মান করেন নাই। মসজিদের নাম সরকারী বরাদ্দকৃত বিভিন্ন অনুদান তিনি সম্পুর্নরুপে আত্মসাৎ করেন। এমতাবস্থায় গত ঈদুল আযহায় মসজিদের মুসল্লীগণ মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসাব চাইলে সম্পাদক তবারক হোসেন লেবু মিয়া মুসল্লীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সুষ্ঠু হিসাবের লক্ষ্যে মুসল্লীগণ বেতগাড়ী ও খলেয়া দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের স্বরণাপন্ন হন। উল্লেখ্য উক্ত মসজিদের মুসল্লীগণ বেতগাড়ী খলেয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। মসজিদের মুসল্লীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানদ্বয় গত রবিবার ২০ নভেম্বর মসজিদ মাঠে শালিসের দিন ধার্য্য করেন। রবিবারের পূর্বে শুক্রবার বাদ জুম্মা তবারক হোসেন লেবু মিয়া মসজিদে তালা লাগান। যার ফলে ২ দিন মসজিদে নামায আদায় করা সম্ভব হয়নি মুসল্লীদের। ধার্য্যকৃত রবিবার চেয়ারম্যানদ্বয় উপস্থিত হলে শালিস বৈঠকের শুরুর পূর্বেই সম্পাদক তবারক হোসেন লেবু মিয়া ও তার বাহিনীর লোকজন চেয়ারম্যানের সামনেই চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করেন এবং মুসল্লীদের উপর চড়াও হন এবং মারপিট করেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত আফজালের পুত্র বাবুল, নভেল, তফিলের পুত্র আশিকুর, কান্দুরার পুত্র আব্দুল রশিদ, খেতাব উদ্দিনের পুত্র বাবুল, ছফুলের পুৃত্র ফুলচাঁদ, তফিল উদ্দিনের পুত্র আইয়ুব সহ ১০ জন গুরুতর আহত জখম হন। এ অবস্থায় গংগাচড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2404178934858520045

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item