প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারে ভূষিত জলঢাকার বৃক্ষপ্রেমিক দেলোয়ারের সাফল্য



মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় দারিদ্র বিমোচনে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীর আওতায় পরিবেশ ও ভারসাম্য রক্ষায় দারিদ্র বিমোচনে সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বৃক্ষপ্রেমিক দেলোয়ার। এ বছর দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন সপ্তাহ ও পরিবেশ দিবসে সামাজিক বনায়ন ও স্টিপ বাগানে ১০ ক্যাটাগরীতে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করে “তিস্তা বহুমুখী সমাজ কল্যান সংস্থা”। এবছর পরিবেশ দিবসে ঢাকার খামারবাড়ী কৃষি ইন্সটিটিউটে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত থেকে বনায়নে প্রথম পুরস্কার তুলে নেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। জলঢাকা ধর্মপাল ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল এলাকা দারিদ্র বিমোচনকে মাথায় রেখে এখানে ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৩০ প্রজাতির  গাছ লাগানো হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদী প্রকল্পে তিস্তা ও বুড়ি তিস্তা নদীর অববাহিকা অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন রোধ প্রশমনের লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “তিস্তা বহুমুখী সমাজ কল্যান সংস্থা” বাস্তবায়ন করছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্টি বোর্ড ও পিকেএসএফ-এর অর্থায়নে উপজেলার ধর্মপাল ও গোলনা ইউনিয়নে ২০১১ সালে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬.৮৮ কি.মি. ৩৬ হাজার ৮শ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সংস্থাটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ৪৪ হাজার চারা রোপন করেন বলে জানান সংস্থার চেয়ারম্যান। প্রকল্পটিতে উপকার ভোগী রয়েছেন ১৮০ জন। প্রকল্পটি শতভাগ সফল হলে ৫৫% অর্থ সুবিধা ভোগীদের মাঝে বিতরণ করে দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে জানান বাগানের সদস্য ভবেশ চন্দ্র। একদিকে জলবায়ু বিরুপ প্রভাব রোধের পরিকল্পনা অপরদিকে দারিদ্র বিমোচনে কাজ করছে প্রকল্পটি। এসব চারা তদারকির জন্য দায়িত্বে ৩৬ জন পাহাড়াদার নিযুক্ত রেখেছেন। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কখনো নিজেই প্রকল্প এলাকায় গিয়ে নিজ হাতে গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছেন, সময় মত সার দিয়েছেন কখনো সঠিক পরিচর্যা করে সুস্থ সবল বৃক্ষের সমাহারে পরিনত করেছেন এলাকাটি। যা না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। দৃষ্টিনন্দন এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমায় প্রতিনিয়ত। স্টিপ বাগান জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট “সামাজিক বনায়ন কর্মসুচির মাধ্যমে তিস্তা, বুড়ি তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলের নদী ভাঙ্গন ও তিস্তা ব্যারেজের বিভিন্ন ক্যানেলে ভাঙ্গন প্রশমন” শীর্ষক প্রকল্প আর সফলতায় দেলোয়ার হোসেনকে ওই এলাকায় সবাই তাকে সামাজিক বনায়নের রুপকার হিসাবে চেনে এমন কথা জানান ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান। ধর্মপাল হাড়িকোট গ্রামের মৃত নীলমন বর্মনের ছেলে সুপাং চন্দ্র (৬০) জানান, “চৈত্রের প্রখর রোদের তাপে এখানে বলতে গেলে বসবাসের অযোগ্য ছিল। বর্তমানে গাছ পালাগুলো উঠতে শুরু করলে এখনকার আবহাওয়ায় শীতলতা নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে বসবাসের জন্য বাড়িঘরও বাড়ছে”। সেখানে গাছ পরিচর্যার জন্য নিয়োজিত সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, আমাদের দারিদ্র বিমোচনে এই প্রকল্পটি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রকল্পটির ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি সংস্থাটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। তার এমন সাফল্যে আনন্দিত। তিনি জানান জলবায়ু পরিবর্তনে এই অঞ্চলের দারিদ্রতা বিমোচন মাথায় রেখে আমি আমার সর্বশক্তি নিয়োগ করে কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, আমার এ পুরস্কার পুরো দেশকে বনায়ন কর্মসূচীকে আরও বেগবান করবে।

পুরোনো সংবাদ

সমাজ-সংগঠন 8865446611639695769

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item