ডিমলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষকের আত্মহত্যা

বিশেষ প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর॥

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদের ই-সেন্টারের প্রশিক্ষক জয়নাব বানু(২৬) গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করেছে। আজ শনিবার সকালে ডিমলা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন রাজবাড়ি পাড়ার বাবা জামিয়ার রহমানের বাড়ি হতে জয়নাব বানুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে যৌতুকলোভী শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের কারনে স্বামীর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ব্যর্থ হয়ে জয়নাব বানু রাগ ও ক্ষোভে আতœহত্যা করতে বাধ্য হয়।

জানা যায় জয়নাব বানু ২০১০ সাল থেকে ডিমলা উপজেলা ই সেন্টারের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। ২০১৪ সালে নবেম্বর মাসে তার বিয়ে হয় একই উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানি গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের সঙ্গে। জয়নাবের স্বামী মানিক একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও)  লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে।

জয়নাবের বাবা জানায়, বিয়ের সময় দশ লাখ টাকা যৌতুকের মধ্যে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। বাকী চার লাখ টাকা না পেয়ে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন জয়নাবের খোঁজখবর নেয়া এক প্রকার বাদ দিয়ে দেয়। ঈদুল আযহার সময়   জয়নাব তার স্বামীর সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছাপোষন করলেও স্বামী তা গ্রহন করেনি। ফলে তার মেয়ে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঈদ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি ঈদের দিন সন্ধ্যায় এবং ঈদের পরের দিন সময় করে স্বামীকে আসার অনুরোধ করে জয়নাব। কিন্তু স্বামী না আসায় এ নিয়ে মোবাইলে  তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে বাবার বাড়ির নিজ শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়িতে গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যা করে জয়নাব। দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে জয়নাবের স্বামীর সঙ্গে সাংবাদিকরা মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, জয়নাব উপজেলা ই সেন্টারের প্রশিক্ষক হিসেবে  দায়িত্ব পালন করছিল। পারিবারিক সমস্যার কারনে সে আতœহত্যা করছে বলে জানতে পেরেছি।

 ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান মেয়েটির বাবা থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6769013524852818620

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item