কিছু বিপথগামী ইসলাম ধর্মকে অন্যদের কাছে হেয় করছে: প্রধানমন্ত্রী
https://www.obolokon24.com/2016/08/seakh-hasina_3.html
ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্মে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই। কিছু বিপথগামী ঠাণ্ডা মাথায় নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে ইসলাম ধর্মকে অন্যদের কাছে হেয় করছে, ভীতি সৃষ্টি করছে। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না।তাদের ব্যাপারে দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর আশকোনায় আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের সম্মান অক্ষুণ্ণ ও সমুন্নত রাখতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। ছেলে-মেয়েরা যাতে বিপথে যেতে না পারে সে জন্য অভিভাবক, শিক্ষকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, দুঃখ লাগে, কষ্ট লাগে যখন দেখি কিছু বিপথগামী তরুণ ঠাণ্ডা মাথায় নিরীহ মানুষ হত্যা করে। যারা নিরীহ মানুষ হত্যা করছে তারা ইসলামকে অন্যের কাছে হেয় করছে। অন্যের কাছে ইসলাম সম্পর্কে ভীতি সৃষ্টি করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মটাকেই তারা কার স্বার্থে হেয়প্রতিপন্ন করছে?
তিনি বলেন, যারা খুন-খারাবি করে, মানুষ হত্যা করে ধর্মকে হেয় করছে তাদের বিরুদ্ধে জাতিকে সোচ্চার হতে হবে। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জঙ্গিদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।
হজ যাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজী সাহেবরা ভালো মতো হজ পালন করে আসেন, এটা চাই। সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন এটাই কামনা করি। দেশের জন্য দোয়া করবেন, দেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে এ দেশের মানুষ যেন মুক্তি পায়। সেজন্য দোয়া চাই। ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের কাছে দোয়া চাই
অনুষ্ঠানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ীকমিটির চেয়ারম্যান বজলুর হক হারুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) সাহারা খাতুন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৪ অগাস্ট থেকে এবং এ বিশেষ ফ্লাইট চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি ফ্লাইট ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। অন্য বছরের মতো এবারো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করবে।