ডোমারে জনরোষের ভয়ে অসুস্থার অজুহাতে তদন্তে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত

আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া পাটোয়ারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদা বানু (বেনু)’র বিরুদ্ধে ১০৯ জনের স্বাক্ষরিত অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও জনরোষের ভয়ে প্রধানশিক্ষক অসুস্থার অজুহাত দিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি ,অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে ও অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায় ,গত  ১৯ জুলাই উপবৃত্তির টাকা প্রদানে অভিভাবকদের নিকট থেকে জোড়পূর্বক ১০০ টাকা আদায় করে। এজন্য অনেক ছাত্রছাত্রীদের বইও আটক করে রাখে। কি জন্য ১০০ টাকা দিতে হবে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আউয়াল হোসেন  প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে তাকেও গালমন্দ ও  ধমক দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বিদ্যালয় মেরামতের স্লিপ বিলের ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে এবং তিনি নিয়মিত স্কুলেও উপস্থিত থাকেন না উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ১০৯ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী ।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ।এ নিয়ে গত ২৭শে জুলাই কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় “নীলফামারীতে উপবৃত্তি বিতরণে অনিয়ম ”শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় ।সংবাদ প্রকাশের জেরে ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত করার নিদের্শ দেয় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল শাহাজাদাকে ।
অভিভাবক পূর্নিমা রানী / লিপি আকতার /লাকী বেগম জানান,উপবৃত্তির জন্য গতমাসে খাতায় সই করার সময় একশত টাকা নেয় ।স্কুলের ড্রেসের জন্য তিনশত টাকা কেটে নিতে চায় ।তা না দিলে ড্রেস খুলে নেওয়া হবে,বই কেড়ে নেওয়া হবে, বলে জানায় হেডম্যাডাম । এমনকি বিস্কুট দেওয়া বন্ধ করে দেয়।বাচ্চারা ভয়ে ¯ু‹লে আসতে  চাচ্ছে না ।আজ (বৃহস্পতিবার)কে বড় স্যারদের তদন্তে আসার কথা ছিল ।আমরা আসি শুনি,হেডম্যাডামের অসুখ ,বড় স্যাররা আসবে না ।
৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আউয়াল হোসেন জানান,আজ (বৃহস্পতিবার) উপবৃত্তির জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগের পক্ষে শত শত অভিভাবক সাক্ষী দেওয়ার জন্য এসেছিল ।এই ভয়ে অসুস্থার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ।ওনার স্বামী ওখানে চাকরী করে,তার প্রভাব ওখানে আছে ।
সংশ্লিষ্ট স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কামাল পাশা জানান,কোন ভাবেই বিস্কুট বিতরন বন্ধ করার নিয়ম না থাকলেও,গত ১৯ শে জুলাই থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য ম্যাডাম বন্ধ করে দেয় ।ঐদিন বিস্কুট দেওয়া বন্ধ থাকলেও পরের দিন ম্যাডাম না আসায় আমি বিস্কুট দেওয়া শুরু করি । আমি পঞ্চমশ্রেনীর বাচ্চাদের কাছে জিঙ্গাসা করলে কাপড় খুলে নেওয়া ,বই কেড়ে নেওয়ার সত্যতা পাইনি ,তবে উপবৃত্তির জন্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা নেওয়ার কথা বলেছে ।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহিদা বানু (বেনু)’র সেলফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।পাশের শয্যার রোগীর মোবাইলে কথা বললে জানান,হঠাৎ করে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায়  অসুস্থ হয়ে পড়ি,শ্বাস কষ্ট হচ্ছে বলে মোবাইল কেটে দেন ।
সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহেল শাহজাদা সালে কথা বললে তিনি মোবাইলে  জানান ,উনি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিয়েছে,উনি অসুস্থ ,গত  কাল (বুধবার রাত সাড়ে সাড়ে ১১ টায় )অসুস্থ হয়ে মেডিক্যালে ( উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে) ভর্তি হয়েছে । তাই তদন্ত আজ (বৃহস্পতিবার) হয়নি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6289399041558601323

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item