কিশোরগঞ্জে নিম্নমানের পাথর ও বালু দিয়ে সিসি ব্লক তৈরির অভিযোগ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁড়ালকাটা নদীর তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পে নি¤œমানের পাথর ও বালু দিয়ে সিসি ব্লক তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদীর ভাঙ্গন কবলিত ৫টি পয়েন্টে ১ হাজার ৯শ মিটার কাজে সাইন বোর্ড না দিয়ে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজসে যেনতেনভাবে কাজ করে এলাকাবাসির চোখে ধুলো দিয়েছে।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাম্পিং বাঁশের খুটি ও সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে চাঁড়ালকাটা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ব্যয়ে ৫ টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্প গুলো হলো চাঁড়ালকাটা  নদীর বাহাগিলি সন্নাসীপাড়া বাঁধ প্রতিরক্ষামুলক ৫০০ মিটার  কাজে বরাদ্দ ৩ কোটি ৫ লাখ সিসি ব্লক ৬০ হাজার । ময়নাকুড়ি বাঁধ প্রতিরক্ষামুলক ৩০০ মিটার কাজে বরাদ্দ ১ কোটি এক লাখ সিসি ব্লক ২০ হাজার । নিতাই বেলতলি বাঁধ প্রতিরক্ষামুলক ৩০০ মিটার কাজে বরাদ্দ ১ কোটি ২৫ লাখ সিসি ব্লক ২২ হাজার । কালুর ঘাট ব্রীজের দক্ষিনে চাঁড়ালকাটা নদীর বাঁধ নির্মান ২৫০ মিটার কাজে বরাদ্দ ৭৭ লাখ টাকা সিসি ব্লক ১৭ হাজার। উত্তর দুড়াকুটি ঈদগাঁ মাঠ প্রতিরক্ষামুলক ৮০০ মিটার  বাঁধ নির্মানে বরাদ্দ ২ কোটি ৫০ লাখ সিসি ব্লক ৭০ হাজার ও চাঁদখানা সাড়োভাষা ব্রীজের উত্তরে বাঁশের খুটি দিয়ে অস্থায়ীমুলক ২০০ মিটার কাজে বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা। এসব কাজ করে মেসার্স রহমান এন্টার প্রাইজসহ পৃথক ৫ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাইবো) সুত্রে জানা গেছে, ময়নাকুড়ি ৩০০ মিটার বাঁধ প্রতিরক্ষামুলক কাজ ছাড়া কোন কাজ শেষ হয়নি। অথচ বন্যার আগেই ৩০ জুনের মধ্যে কাজগুলো শেষ করার ধরা বাঁধা নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এলাকাবাসী জানায় নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমানসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি একটি সাইন বোর্ডে লিখে টাঙ্গিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও কোন প্রকল্পে তা নেই। নির্বিঘ্রে নি¤œমানের কাজ করার জন্যই প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড দেয়া হয়নি। কিশোরগঞ্জ সাব ডিবিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকেীশলী সাজু আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজ আসলেই আপনারা দেখতে আসেন কিন্তু কাজ কিভাবে আনতে হয় তা জানতে চাননা। কিভাবে কাজ আনেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উপরে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে কাজ আনতে হয়। টাকা কোথায় পান বললে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
ময়নাকুড়ি প্রতিরক্ষমুলক কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোফাকেরুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে পার্বতীপুর ডিবিশনে আছি বলে ফোন কেটে দেন। সন্নাসীপাড়া প্রতিরক্ষামুলক কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের কাছে সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাইডে সাইনবোর্ড দেয়া আছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকেীশলী আব্দুস শহিদের  সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি নিতাই বেলতলী প্রতিরক্ষমুলক কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম সেখানে কাজ ভাল হয়েছে। স্থানীয় নদীর  নি¤œমানের বালু ও পাথরের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ময়নাকুড়ি প্রতিরক্ষামুলক কাজে একটি ট্রাকে পাথর খারাপ ছিলো সেটি ফিরৎ দিয়েছি। আর বালু যেখান থেকে আনুক ১.৫ এফ এম হলে চলবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3830840113466724977

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item