আপডেটঃ বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে গোবিন্দ

বিশেষ প্রতিনিধি ৯ আগষ্ট॥
পরকিয়া প্রেমের জের ধরে পারিবারিক কলহে ছোট ভাই নিতাই চন্দ্র রায়কে (২২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে  আপন বড় ভাই গোবিন্দ চন্দ্র রায় (৩০)।  প্রকাশ্য দিবালোকে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বারোবিশা খামাত বামনিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় হত্যাকারী বড়ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ সময় বড় ভাই গোবিন্দ ছোটভাই নিতাইকে  নিজ হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা শিকার করেন এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা টি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। হত্যার শিকার ও হত্যাকারী ওই দুই ভাই উক্ত গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্র রায়ের দুই ছেলে।
এলাকাবাসী জানায় ঘটনার সময় ছোট ভাই বাড়ির অদুরে বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটছিল। এ সময় পেছন দিকে দিকে তার মাথায় ও ঘারে দা দিয়ে বড় ভাই উপর্যুপরি কয়েকটি কোপ মেরে হত্যা করে। বড় ভাই গোবিন্দ্র বিবাহিত ও দুই মেয়ে সন্তানের জনক হলেও ছোটভাই ছিল অবিবাহিত।
একাধিক সুত্র জানায়, হত্যার শিকার নিতাই চন্দ্র ভারতের জলপাইগুড়িতে এক সময় বসবাস করতো। গত ৫ বছর আগে সে ভারত থেকে বড় ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে। এখানে এসে সে লিখাপড়া শুরু করে এবং  এসএসসি পাশ করে। সম্প্রতি গুজব উঠে বড়ভাই গোবিন্দের  স্ত্রী শোভা রানীর  সাথে ছোট ভাই নিতাইয়ের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল। যা গোবিন্দ্র জানতে পারে। এতে ছোটভাইয়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিল গোবিন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীরা  জানায় সকালে বড় ভাই গোবিন্দ ছোট ভাই নিতাইকে তাদের জমির বাঁশ কেটে বাড়ির কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়। নিতাই বাঁশ কাটার জন্য সকাল ১১টার দিকে বাঁশঝাড়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর বাড়ি থেকে একটি দা নিয়ে বড়ভাই গোবিন্দ বাঁশঝাড়ের দিকে যেতে থাকে। সে বাঁশঝাড়ে গিয়েই বাঁশ কাটার কাজে নিয়োজিত ছোট ভাই নিতাইকে পেছন থেকে দা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকে। ফলে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় নিতাই। এরপর গোবিন্দ রক্ত মাথা জামা নিয়েই পালানোর চেস্টা করলে এলাকাবাসী তাকে ঘিরে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
ডোমার থানার ওসি আহমেদ রাজিউর রহমান রাজু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী বড়ভাই গোবিন্দকে গ্রেফতার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত দাটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর।
ওসি বলেন কি কারনে বড় ভাই ছোট ভাইকে হত্যা করলো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃত গোবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে গোবিন্দ যে তার ছোট ভাইকে নিজে হত্যা করেছে তা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6088820861138851413

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item