ডিমলায় শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2016/08/dimla_10.html
জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
ডিমলায় শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মুক্তি পারভীন নামে এক গৃহ বধুর মৃত্যুর অভিযোগ করেন,উক্ত গৃহবধুর বাবার পরিবার।ঘটনাটি ঘটে উপজেলা ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,খালিশা চাপানী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল লতিফের কন্যা মোছাঃ মুক্তি পারভীনের সঙ্গে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মৃত সহিদার রহমানের পুত্র রফিকুল ইসলাম (৩৫) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ১ পুত্র সন্তানের জননী হয়। স্বামী সহিদার রহমান প্রায় সময় যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো। এ নিয়ে একাধিক বার গ্রামো শালিস হয়েছে। স্বামী পরিবার এরই মধ্যে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করে বসে। তার দিতে অপরাগতা জানালে গত ৯ আগষ্ট ২.৩০ মিনিটে স্বামী রফিকুল ইসলাম তার ভাই শফিকুল ইসলাম (৩৮), সুফিয়া বেগম (৬০), স্বামীঃ মৃত শহিদার রহমান, মঞ্জুয়ারা বেগম (৩২), স্বামীঃ সফিকুল ইসলাম, রউফুল ইসলাম (২৫), পিতাঃ মৃত সহিদার রহমান, আঃ মালেক (৩২), পিতাঃ মৃত জিল্লুর রহমান, লাবনী আক্তার (২৭), স্বামীঃ আব্দুল মালেক মিলে মুক্তি পারভীনের সঙ্গে ঝগড়া ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাছ করলে সে তাতে প্রতিবাদ জানালে তাকে শারীরিক নির্যাতন সহ লোহার রড দিয়ে মুক্তি পারভীনের বুকে, পিঠে, মাথায়, কোমরে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিলে ঘটনাস্থনে তার মৃত্যু ঘটে।এই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দ্যেশে একটি প্রভাবশালী মহল সহ তার স্বামীর পরিবারের লোকজন মিলে ভ্যান যোগে ডিমলা সদর হাসপাতারে না নিয়ে জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মাঝ পথ থেকে বাড়ী ফিরিয়ে আনে।
উঠান সংলগ্ন কাঠের পূর্ব বাড়ান্দায় কাঠের চৌকির উপর শুয়ে রাখলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সহ পাশ্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন ও অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুক্তি পারভিনের ভাই মোক্তাদিরুল মবিন ওরফে মিঠু জানান, বিয়ের কয়েক বছর পরে আমার বোন একটি পুত্র সন্তানের মা হন। এর পর থেকেই আমার ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম তার বাড়ীর লোকজনের কু-পরামর্শে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে আমার বোনের প্রতি মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করে আসেছিলো।তবে স্বামীপক্ষের দাবি, মুক্তি পারভিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যেতা নিশ্চত করে প্রতিবেদককে বলেন এ বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।