মনু মিয়ার গোপন তথ্য ফাঁস,পীরগাছায় মোটা অংকের বিনিময়ে সরকারী সম্পত্তি রেকর্ড প্রদানের চেষ্টা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি ঃ

রংপুরের পীরগাছায় সদ্য যোগদানকৃত এক ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) কর্তৃক সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে মোটা অংকের বিনিময়ে আপত্তি মামলার প্রতিবেদন বাদীর পক্ষে দিয়ে রেকর্ড প্রদানে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার বহুল আলোচিত তাম্বুলপুর ইউনিয়নে ঘগোয়া মৌজার রহমতচরগামী বহমান বুড়াইল নদীর উপর ১৯৮৭সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম শাহ মোঃ মিজানুর রহমান যাতায়াতের জন্য আরসিসি পিলার ও কাঠপাটাতন দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ করেন। নির্মানাধীন ব্রীজটি পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায় এবং দীর্ঘদিন জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে চলে যায়।  সম্প্রতি গত ১৪মার্চ/২০১৩সালে বর্তমান সরকারের রংপুর-৪(পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাংসদ টিপু মুনসী ব্রীজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। কালির পাড় ব্রীজ উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন এল জি ই ডি কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। উক্ত ব্রীজ নির্মাণ হলে পার্শ্ববর্তী রহমতচর মৌজার প্রায় ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম হবে বলে এলাকাবাসী আশা করেন। রংপুর-৪(পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সাংসদ টিপু মুনসি নির্বাচনের সময় উক্ত স্থানে ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন। তার প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী ব্রীজ নির্মানের সময় ওই স্থানের ভূমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ওই স্থানের ভূমি সরকারী সম্পত্তি হওয়ায় কৌশলে স্থানীয় এক ব্যাক্তি দাবী করলেও তিনি তা ধরে রাখতে পারেনি। তার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বহমান বুড়াইল নদীতে  ৬৫ মিটার কালীর পাড় ব্রীজ ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬ শত ৬২ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন এর কাজ বন্ধ করতে তিনি থেমে থাকেননি। ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে ১একর ২৮ শতাংশ সরকারী জমি নিজের নামে রেকর্ড ভূক্ত করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে আপিল মামলা করে। যার আপিল মামলা নং ৩০৯৯/১৫। উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার মামলা নিস্পত্তির জন্য শুনানীর তারিখ ২৫নভেম্বর/২০১৫ নির্ধারণ করে বাদীকে নোটিশ প্রদান করেন। বিবাদী হিসেবে সরকার পক্ষ নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট তাম্বুলপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মনু মিয়াকে নোটিশ প্রদান করেন। বিবাদী সরকার পক্ষ হিসেবে মনু মিয়া অজ্ঞাত কারণে সরকারী স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে নিজের স্বার্থকে বেশী মনে করে মোটা অংকের বিনিময়ে ব্রীজ নির্মানে বাধাগ্রস্থ করতে বাদীর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার শুনানীর দিন বাদী নিজে ও বিবাদী হিসেবে সরকার পক্ষে উপস্থিত হন ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মনু মিয়া। তিনি একটি প্রতিবেদন উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে উপস্থাপন করে বলেন যে, ওই জমিতে সরকারী কোন স্বার্থ জড়িত নাই। অথচ ওই সরকারী জমিতে বহমান বুড়াইল নদীতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। কোন অজ্ঞাত কারনে তিনি সরকারী সম্পত্তি রেকর্ড দিতে সুপারিশ করেছেন তা এলাকাবাসী জানতে চায়।
এসময় উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার প্রতিবেদন হাতে পেয়ে উক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কে তিরস্কার করাসহ তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে অবহিত করেন এবং মামলার কাজ স্থগিত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নুরুন্নবী এর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, যেখানে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারী সম্পত্তিতে ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে সেই সরকারী জমি কোন অজ্ঞাত কারনে ব্যক্তি মালিকানায় দিতে প্রতিবেদন দেন তাম্বুলপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনু মিয়া তা আমার ভাল জানা নেই। সরকারী সম্পত্তি এবং সরকারী স্বার্থ জড়িত থাকায় আমি গত ৮ ফেব্র“য়ারী/২০১৬ তারিখে মামলা না-মঞ্জুর করি।
এব্যাপারে তাম্বুলপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মনু মিয়া এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ভুল হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসিম আহম্মেদ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7471836463196721287

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item