কল্যাণপুরে নিহত ৩ জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত

ডেস্কঃ
রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত ‘তাজ মঞ্জিলে’ পুলিশ-র‌্যাব ও ডিবির যৌথ অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৩ জনের সম্ভাব্য পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৩ জনের নাম হাসান জুবায়ের, সাব্বিরুল হক ও সেজাত রউফ ওরফে অর্ক।
পুলিশের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ দেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।
মাসুদুর রহমান জানান, নিহতের মধ্যে একজনের নাম সেজাদ রউফ মরক্কো ওরফে অর্ক। সে নর্থ সাউথ বিশ্বিবদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ প্রাথমিকভাবে যে ৭জনের নিখোঁজের তালিকা দিয়েছিল সেই তালিকায়ও নাম ছিল সেজাদের। অর্কর বাসার ঠিকানা দেয়া ছিল গুলশান।
তিনি জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তারাঁয় হামলা চালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে গোলগুলিতে নিহত নিবরাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল অর্ক। সেও দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিল।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত হওয়া নিহত আরেক যুবকের নাম জুবায়ের। তার বাড়ি নোয়াখালীর সুধারামপুর। তার বাবা গাড়ি চালক আব্দুল কাইয়ুম। গত ২৫ মে থেকে নিখোঁজ ছিল নোয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) একে এম ইমরান ভূঁইয়া জানান, কল্যাণপুরে নিহতদের একজন সাব্বিরুল হক কনিক (২২) চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরা ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক ইসালামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল।
তিনি জানান, গণমাধ্যমে ছবি দেখে সাব্বিরুলের বাবা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা আজিজুল হক প্রাথমিকভাবে তার ছেলেকে শনাক্ত করেন। তাদের বাড়ি আনোয়ারার বরুলছড়া ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আজিজুল হক বর্তমানে বাকুলিয়িা থানা এলাকায় বসবাস করেন। আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
বাকুলিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, গণমাধ্যমে ছবি দেখে প্রাথমিভাবে ওই জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার পরিবার বাকুলিয়ার ইসহাকের পুল এলাকায় বাস করে।
পুলিশ জানায়, কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাইস্কুলের পাশে তাজ মঞ্জিল নামের ৬তলা ভবন ‘জাহাজ বিল্ডিং’ এর ৫ম তলায় জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছিল।
ওই ভবনে গেপান সংবাদে সোমবার মধ্যরাতের পর পুলিশ ও র্যাগবের প্রাথমিক অভিযান শুরু হয়। পরে সোয়াট বাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স’ নামে মূল অভিযান চলে ভোর ৫টা ৫১ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা।
অভিযানের পর মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে নয়জনের লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির মধ্যে এক জঙ্গি আহত হয়। পরে বিকেলে অভিযানে নিহত ৯ জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের পরিচয় জানতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।