নীলফামারীর বিলুপ্ত ছিটমহলে ভোটার তালিকার কার্যক্রম শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি ১০ জুলাই॥ 
বিলুপ্ত ছিটমহল গুলোর নব্য বাংলাদেশী নাগরিকদের ভোটার তালিকা প্রনোয়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রবিবার  থেকে  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৪টি ছিটমহলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে  তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে দেখা যায়। তথ্য সংগ্রহের  কার্যক্রম  চলবে আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত। তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে  ১৭ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন চলবে। এরপর ১ আগস্ট প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মিলবে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে  উচ্চ আদালতে একটি রিটের কারনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। সেখানে আদালতের আদেশ না মেনে ডিমলার চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলের ভোটার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে  গত বছরের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় কার্যক্রম শেষ হয়। এর আওতায় ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহল এবং বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল বিনিময় হয়। বাংলাদেশ যে ১১১টি ছিটমহল পায়, তাতে থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দিয়ে গত ১১ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে এ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাস উদ্দিন জানান নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চারটি ছিটমহলে পূর্বের জনগননা অনুযায়ী ১১৯টি পরিবারের ৫৪৫ জন সদস্য রয়েছে। ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহের জন্য  উপজেলার নির্বাচন কার্যালয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীলফামারীর ওই চার বিলুপ্ত ছিটমহলে দুইজন তথ্য সংগ্রহকারী যথাক্রমে আজিজুল ইসলাম , আব্দুল বারেক ও সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুর রহিম।
জেলা নির্বাচন অফিসার আরো জানান ইসির নির্দেশনা মতে  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নে যুক্ত হওয়া চার বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে  ২৮ নম্বর বড় খানকিতে ২১ পরিবারের ৮৯ সদস্য এবার ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হতে পারছেনা। ওই ছিটমহলটি পুর্বে ডিমলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু সেটি নতুন করে ডিমলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করায় খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উচ্চ আদালতে একটি রিট করেন। ফলে এই বিলুপ্ত ছিটমহলো পরিবারগুলো আপাতত ভোটার তালিকার আওতায় বাহিরে থাকছে। পরবর্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের ভোটার তালিকায় আনা হবে।
তিনি আরো জানান ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী  ২৯ নম্বর বড় খানকি খারিজায় ৪৫ পরিবারের ১৯৪ জন, ৩০ নম্বর খানকি খারিজা গিতালদহে ৮ পরিবারের ৪২জন ও ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়িতে ৪৫ পরিবারের ২২০ জন সদস্য রয়েছে। যাদের বয়স ১৮ তাদের এ তালিকায় আওতায় নেয়া হবে।
তবে উচ্চ আদালতে রিটকারী ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান উচ্চ আদালত শুধু একটি নয় ডিমলার চারটি বিলুপ্ত ছিটমহল সংক্রান্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক  ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। সে হিসাবে চারটি ছিটমহলে  ভোটার তালিকা স্থগিত থাকার কথা। তিনি উল্লেখ করে বলেন ওই রিটের কারনে ইউপি নির্বাচনে ডিমলার খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হয়ে রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6715323169437035666

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item