পীরগাছায় রেকর্ড পরিমাণ ভূট্টা আবাদ কৃষকের মূখে হাসির ঝিলিক
https://www.obolokon24.com/2016/05/rangpur_23.html
ফজলুর রহমান, পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছার ৯ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভূট্টার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ভূট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে ভূট্টা চাষীদের। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূভোর্গের স্বীকার না হলে চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ভূট্টা ঘরে তোলার আশংকা করছে কৃষকরা। ফলে প্রতিটি কৃষকের চোখে মূখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।এ দিকে সেচ সংকটসহ নানাবিধ কারণে ইরি, বোরো অনেক কমছে। বেশী খরচ ও ধানের দাম কম থাকা কৃষকরা ভূট্টা আবাদে ঝুকে পড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার ভূট্টা আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল হাজার ৭শত হেক্টর। কিন্তু চলতি মৌসুমে ৭শত ৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারে ভূট্টার আবাদ অনেকটা বেশী। ভূট্টা গাছের ডগা গো-খাদ্য ও গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবছর ভূট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েে বেশী আবাদ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ জমিতে ভূট্টার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভালো হয়েছে। পীরগাছা চরাঞ্চলসহ বিভিন্ এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেবচর গ্রামের শাহাব উদ্দিন জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে ভূট্টা আবাদ করেছি। প্রতি শতাংশে এবার ১ মণেরও বেশী ভূট্টা আবাদ হবে। ভূট্টা ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, বর্তমানে ৫ শত টাকা থেকে ৫৫০ টাকা দরে প্রতি মণ ভূট্টা বিক্রয় হচ্ছে। তবে এবার ভূট্টার আবাদ হয়েছে অনেক। পরিবেশ অনুকূল থাকলে ফলন ভাল হবে এবং কৃষকরা ভাল দাম পাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। উপজেলা ৯ইউনিয়নের গাবুড়ার চর, শিবদেবচর, চর তাম্বুলুর রহমতচর, তালুক ইশাদ, ফকিরটারী, সৈয়দপুর, অন্নদানগর, নামাচর এলাকায় দিগন্ত জোড়া মাঠে শুধু ভূট্টা আবাদ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিশেজ্ঞরা জানান, ভূট্টা কৃষকদের খুবই লাভজনক একটি ফসল। অল্প খরছে প্রচুর টাকা আ করা যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ভূট্টার আবাদ অনেকট বেড়ে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহেদুল হক চৌধুরী শিমূল জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশানুরূপ ফসল হবে বলে আশা করা যায়।