ভারতে ময়না তদন্ত শেষে শিশু ইয়াছমিনের লাশ হস্তান্তর

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৬ মে॥
  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ৯ বছরের শিশু ইয়াছমিনের মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত এলো। শুক্রবার সকাল ১০টায় লাশ হস্তান্তরের কথা থাকলেও লাশ হস্তান্তর হয় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট ধরে বিড়ম্বনায় পড়ে সীমান্তে অবস্থান করতে হয়। তবে ভারত কর্তৃপক্ষ শিশুটির লাশের কফিন সহ কফিনে পুস্পমাল্য প্রদান করে শিশুটির লাশটিকে সম্মান জানায়।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ইয়াছমিনের লাশ ফেরত দেয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ভারতের শিংপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প পত্র দেয় নীলফমারীর ডিমলা উপজেলার থানারহাট কলোনী বিজিবি ক্যাম্পে। সে মাফিক যথাসময়ে  নীলফামারীর ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খাঁন, থানারহাট কলোনী বিজিবির কমান্ডার সুবেদার আবুল আজাদ, পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান চরখড়িবাড়ি সীমান্তে অবস্থান নেয়। এরপর ভারত থেকে ইয়াছমিনের লাশ হস্তান্তরের সময় পিছিয়ে বেলা ৩টায় কথা জানায় বিএসএফ। এরপর বেলা তিনটার পর থেকে আর কোন খবর পাওয়া যায়না বিএসএফের। দীর্ঘ সময় বিড়ম্বনার পর বিকাল ৫টায় ইয়াছমিনের ময়নাতদন্ত করা লাশ  নিয়ে আসেন সীমান্তে তারা। এরপর লাশ হস্তান্তরের আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র তৈরী এবং স্বাক্ষরের পর বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতের পক্ষে লাশ হস্তান্তর করেন ভারতের শিংপাড়া বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার এ,কে ঠাকুর ও কুচলিবাড়ি থানার ওসি এসটি ভট্টাচার্য্য। তারা দুঃখ প্রকাশ করে জানায় লাশের ময়না তদন্ত শেষে কুচবিহার থেকে ফিরতে দেরী হওয়ায় লাশ হস্তান্তরের এই বিড়ম্বর সৃস্টি  হয়েছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একটি কারে শিশু ইয়াছমিনের লাশের কফিন নিয়ে আসে। কফিনটিকে তারা ফুল দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত শিশু ইয়াছমিনের লাশ তার পিতা দিনমজুর ইয়াছিন আলীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ইয়াছমিনের অসহায় বাবা দিনমজুর ইয়াছিন আলী জানায় রাতেই লাশ দাফন করা হবে। পাশাপাশি তিনি তার শিশু সন্তানকে যারা হত্যা করে চোখ ও কিডনী নিয়ে গেছে তাদের গ্রেফতার ও ফাঁসী দাবি জানায়।
প্রসঙ্গতঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর ইয়াছিন আলীর মেয়ে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ইয়াছমিন(৯) গত ১ মে নিখোঁজ হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে দুইজন অপরিচিত যুবক ইয়াছমিনকে অপহরন করে নিয়ে যায়।  নিখোঁজ হবার তিনদিন বুধবার (৪ মে) বিকালে ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর চর ভারত সীমান্তের শিংপাড়ার একটি ভুট্টা ক্ষেত হতে। শিশু হত্যাকারী দুর্বৃত্ত্বরা  ইয়াছমিনে দেহ থেকে দুইটি চোখ ও কিডনী কেটে নিয়ে যায়। ইয়াছমিনের লাশের সন্ধ্যানের পর সেদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের উভয় দেশের পুলিশ ও বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ডিমলা থানারহাট কলোনী বিজিবির কমান্ডার সুবেদার আবুল আজাদ জানান বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ভারতীয় প্রতিনিধিরা লাশ হস্তান্তর করেন।
ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খান জানান ভারতে ময়না তদন্ত হলেও ডিমলা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে। সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার কথা জানান ওসি।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7230382256633684541

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item