সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬-এর খসড়া অনুমোদন


ডেস্কঃ



বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান। 
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্য-সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে দাখিল করতে হবে। ১০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে স্পিকার একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করবেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে স্পিকার বিষয়টি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে পাঠাবেন। তদন্ত গোপনে করতে হবে। প্রাথমিক তদন্ত শেষ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের একজন সাবেক বিচারপতি। এ ছাড়া ওই কমিটিতে সাবেক একজন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং একজন সম্ভ্রান্ত নাগরিককে রাখার কথা বলা হয়েছে।তদন্ত-প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ফলাফল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। এরপর সংবিধানের ৯৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারককে অপসারণ-সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতীয় সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গ্রহণ করতে হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি ওই বিচারককে অপসারণ করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আইনে অভিযুক্ত বিচারকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কেউ ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক অভিযোগ করলে দুই বছর এবং অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান বিচারপতি এই আইনের ওপর মতামত দেননি, তবে সেই সুযোগ আছে। তিনি আইনটি ভারসাম্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় সংসদ মনে করলে জনস্বার্থে যেকোনো আইন করতে পারে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2599837563385761855

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item