গাইবান্ধায় অনেক শিশু প্রাথমিকেই ঝরে পড়ছে, বেড়েছে বাল্য বিবাহ

মুহাম্মদ শামীম সরকার শাহীন,গাইবান্ধা প্রতিনিধি :-

গাইবান্ধা জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ১০৪টি চরাঞ্চলের শিশু-কিশোরদের সঠিক তদারকি না থাকায় প্রাথমিকেই অনেক শিশুই বাধ্যতা মুলক প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে।সরেজমিনে কথা হয় ফুলছড়ি উপজেলার নদীর তীরে খড়ি কুড়ানো অবস্থায় কালা সোনার চরের শুকতারা (৮), দুলালী (৯) এবং তাসলিমা (৮) এর সাথে।তারা জানান-পরিবারের অভাবের কারণে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে আর স্কুলে যেতে না পারার কথা।নিত্য দিনে তারা নদীর তীরে ভেসে আসা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ,পানি আনা, চাষাবাদ ওমাছ ধরার কাজে সহায়তা দিয়ে তাদের পিতা-মাতাদের।এখানকার শিশুরা পরিবারের দু’বেলা খাবারযোগাতে শিশু শ্রমে নিয়োজিত হতেবাধ্য হয়। এরপরও ১২ থেকে ১৪ বছরবয়স হলেই চরাঞ্চলের প্রত্যেকটি মেয়ে শিশুদের দেয়া হচ্ছে বাধ্যতা মুলক বাল্য বিবাহ। অভিভাবকরা মনে করেন মেয়েদের বেশি বয়স হলে তাদের বিয়ে দিতে সমস্যা হয়। তাই বাধ্য হয়েই আমরা একাজ করছি।এদিকে জেলার অবহেলিত চরাঞ্চলের শিশুরা শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।অপুষ্টি ও খাদ্য সংকটের কারণেওতাদের স্বাভাবিক জীবনাচারণ ব্যাহত হচ্ছে। মেয়ে শিশুদের বাল্য বিয়ের প্রবনতাও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এ চরাঞ্চলে। একারণেই মাতৃ মৃত্যুর বাড়ছে।চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে অনেক শিশু ভর্তি হলেও অভাবের তাড়নায় তাদের লেখাপড়া শেষ করতেপারে না। মাঝপথেই ঝরে পড়ে তারা। সীমাহীন দারিদ্র্যের কারণে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বয়সে সংসারের চাহিদা পূরণে নানা কাজে নিয়োজিত হতে হয় তাদের।এছাড়াও এই চরে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা বেসরকারি পর্যায়ের কোন চিকিৎসা কেন্দ্র ও চিকিৎসক না থাকায় শিশুদের নানা বিভিন্ন রোগে ভুগে কষ্ট পেতে হয়। বিনোদনের কোন সুযোগ না থাকায় শিশু শ্রমে নিয়োজিত শিশুরা অমানবিক পরিবেশে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 456581424456226884

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item