’হাত্তি চলে বাজার, কুত্তা ভোগে হাজার’
https://www.obolokon24.com/2016/04/election_26.html
হাজী মারুফ
রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার তৃণমুল আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ত্যাগী নেতাদের নাম বাদ দিয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
সম্পতি গঙ্গাচড়ায় এক সাংবাদিক সম্মলেন করেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মর্ণেয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওজিয়ার রহমান ও ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান। তারা বলেন, মোছাদ্দেক আলী আজাদ জাতীয় পার্টি করতেন। কিভাবে অর্থের বিনিময়ে তাকে নৌকা প্রতীকের জন্য সুপারিশ করা হল। শুধু মর্ণেয়া নয়, বড়বিল ইউনিয়নে একসময় জাতীয় পার্টি করতেন পরে নিষ্ক্রীয় একজনকে নৌকার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বেতগাড়ী ইউনিয়নে একাওরের রাজাকারের পরিবার সন্তানের জন্য নৌকা প্রতীক দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। লক্ষীটারী ইউনিয়নে একসময় জিয়া সংসদ করতেন তার নাম পাঠানো হয়েছে নৌকা প্রতীকের জন্য।
কোলকোন্দ ইউনিয়ন, আলমবিদিতর, নোহালী কচুয়া, গঙ্গাচড়া সদরসহ গঙ্গাচড়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে তৃণমুল আ’লীগ কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা গেছে। এসবের জন্য আঙ্গুল উঠেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রুহুল আমিনের বিরুদ্বে। কিন্তু রুহুল আমিন নিজেকে বাচানোর জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপর দায় বর্তেছেন। জানিয়েছেন, জেলা থেকে যে নাম পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মর্ণেয়া এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ১৪ এপ্রিল জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ৩জন উপস্থিত ছিলেন কিন্ত মোছাদ্দেক আলী আজাদ ছিলেন না। নৌকা প্রতীকের জন্য আবেদন করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, ১০ লাখ হলে নৌকা প্রতীক পাওয়া যায়।
রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি । এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক নতুন স্বপ্নকে বলেন আ’লীগ যেনতেন না। সঠিকভাবেই তৃণমুলের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আছেন ।
একটি সুত্র জানিয়েছে, রুহুল আমিন বলে বেড়াচ্ছেন ’হাত্তি চলে বাজার, কুত্তা ভোগে হাজার।’ কাজ করলে সমালোচনা হবেই।...চোখ রাখুন আগামীকালের প্রতিবেদনে