কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণ॥ মুল আসামী পিকআপ চালক গ্রেফতার

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৮ মার্চ॥
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার মুল আসামী পিকআপ চালক মারুকুল ইসলামকে(৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কচুয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া মারুকুল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
   গত বুধবার(১৬ মার্চ) বিকেলে এলাকাবাসী গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের অবিলের বাজারের অদুরের একটি ভুট্টা থেকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সে এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা ভটভটি চালক মহির উদ্দিন বাদী হয়ে কিশোরীগঞ্জ থানায় পিকআপ চালক মারুকুলকে প্রধান আসামী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাচন দমন আইনের ৭/৯ (১১)(৩০) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন(মামলা নম্বর ১১)।
ওই ছাত্রীটি জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টোটুয়াপাড়া গ্রামের ভটভটি চালক মহির আলীর মেয়ে। সে নীলফামারীর জলঢাকা  উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নানা মনছুর আলীর বাড়ি থেকেই  পাশ্ববর্তী  কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের মেলাবর ইউছুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীতে লিখাপড়া করতো। 
নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন শুক্রবার সকালে তার বাসভবনের অফিসে সাংবাদিকদের  জানান  ধর্ষনের ঘটনাটি আজ শুক্রবার দৈনিক জনকন্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়  প্রকাশিত হলে তা নজরে আসে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপির। শিক্ষা মন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রী দুইজনে ওই ছাত্রীর সকল আইনী সহযোগীতার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে খোঁজখবর নেন। জেলা প্রশাসক বলেন এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসনের পক্ষেও  ওই ছাত্রীকে সহায়তা প্রদান করা হবে।            
অপর দিকে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান।তিনি বলেন ঘটনার মুল নায়ক পিক আপ চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী অপর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর জবানবন্দী রের্কড করা হয়েছে।  সে জানায় নানার বাড়ি থেকে লিখা পড়া করতো। তার মামা সেলিম আলু ব্যবসায়ী হওয়ায় আলু সংরক্ষনের জন্য হিমাগারে আলু পাঠাতে একটি পিকআপ ভাড়া করেন। গত কয়েকদিন ধরে পিকআপে আলু হিমাগারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। সেই কারনে পরিচয় ঘটে পিকআপ চালকের সাথে। সুত্র মতে ঘটনার দিন মেয়েটি মাদ্রাসা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছিল। অদুরে পিকআপ নিয়ে অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে পিকআপ চালক মারুকুল ইসলামকে। তারা জোড়পূর্বক মেয়েটিকে পিকআপে তুলে নেয়। এরপর নিয়ে যায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম নামক স্থানে। মেয়েটির ভাষ্য মতে ওই গ্রামের একটি বাড়ির ঘরে তারা তাকে জোড়পূর্বক নষ্ট করে। তার শারীবিক অবস্থা খারাপ হলে এবং প্রচুর রক্তক্ষরন হতে থাকলে ওরা তিনজন তাকে বিকালে পুনরায় পিকআপে উঠিয়ে  অবিলের বাজারের  অদূরে  একটি ভুট্টা ক্ষেতের ধারে ফেলে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই এলাকার এক গৃহবধু তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসির সহযোগীতায় একটি বাড়িতে নেয়। সেখানে এক ফেরিওয়ালা মেয়েটিকে চিনতে পেরে তার বাবাকে মোবাইলে খবর দেয়। তার বাবা এলে এলাকাবাসীর সহায়তায় মেয়েটিকে সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ওসি বলেন গ্রেফতারকৃত পিকআপ চালক মারুকুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য ”নীলফামারীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষন॥ রংপুর হাসপাতালে ভর্তি শিরোনামে শুক্রবার দৈনিক জনকন্ঠের শেষ পাতায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5831033935399804246

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item