তিস্তা সেচ ক্যানেলে পানির জন্য হা হা কার

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা প্রতিনিধিঃ

ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার করায় বাংলাদেশের তিস্তা সেচ প্রকল্পে পানির জন্য হা হা কার সৃষ্টি হয়েছে। যেটুকু পানি পাওয়া যাচ্ছে তা গড়ে ৫ শ কিউসেক। সেটুকু পানি ব্যারাজের ৪৪ টি গেট বন্ধ রেখে প্রধান খালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং তা দিয়ে কিছু জমিতে অনিয়মিত ভাবে সেচ দেয়া হচ্ছে।
তবে তা বোরো আবাদের জন্য অপ্রতুল। কৃষকরা বাধ্য হয়ে তাদের ফসল বাচানোর জন্য তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাশে সেচপাম্প বসিয়ে ফসল রার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে ভারতের সাথে তিস্তা সমস্যা সমাধান(পানিচুক্তি) বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশের র্সবৃহৎ সেচ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উত্তরের জেলা নীলফামারী,রংপুর,দিনাজপুর,গাইবান্ধা,জয়পুরহাট ও বগ্রড়া জেলার ৩৫ টি উপজেলার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পরিবেশের ভারসাম্য রা,অনুকুল পরিবেশ সুষ্টি করতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ১৯৯৮ সালে শেষ করা হয়। এবং প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ নির্ধারন করা হয়। কিন্তু ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে পরবর্তিতে তা ৬০ হাজার হেক্টওে কমিয়ে আনা হয়। তবে কয়েক বছর ধওে সেই লমাত্রাও পূরন হচ্ছেনা। এবং চলতি মৌসুমে তা আরো কমিয়ে ১০ হাজার হেক্টওে আনা হয়েছে। এরপরেও পানি না পেয়ে কৃষকরা সেচ ক্যানেলের পাশে ফসল রার জন্য বাধ্য হয়ে সেচ পাম্প বসিয়েছে। জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী এলাকার কৃষক জাহেদুল ইসলাম,সহিদুল ইসলাম,অন্য বাবু,মধাব চন্দ্র রায় জানান, তারা ক্যানেলের পাশের জমিতে বোরো আবাদ করছেন। প্রথম দিকে সামান্য পানি পেলেও এখন একেবারেই পানি নেই। তারা অবিলম্বে ভারতের সাথে পানি সমস্যার দাবি জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী ডিভিউশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম জানান,চলতি মৌসুমে চুয়ানো পানি দিয়ে ১০ হাজার হেক্টও জমিতে পানি দেয়ার লমাত্রা নির্ধারন করা হলেও সেই পানি দেয়াও সম্ভব হচ্ছেনা। তিস্তা পানিচুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে সেচ প্রকল্পটি সমভবত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 4617543884921011951

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item