কিশোরীগঞ্জে টিআর-কাবিখা হরিলুট

বিশেষ প্রতিনিধি,নীলফামারী,বিপিএম জয় কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ॥
এক কোদাল মাটিও ফেলা হয়নি। একই স্থানে প্রতি বছর প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দ নেয়া হয়েছে  টিআর ও কাবিখার চাল। যথারীতি তা উত্তোলনের মাধ্যমে হরিলুট করা হয়েছে।  অনিয়মেই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির বরাদ্দকৃত কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের লাগামহীনভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে।প্রকল্পের চাল বিক্রির অর্থ বিএনপি ও জামায়াত সহ একটি প্রভাবশালী চক্র প্রকাশ্যেই ভাগবাটায়ারা করে নিচ্ছে। 
বর্তমান সরকারের দেশ জুড়ে যখন উন্নয়ন জোয়ার ঠিক সে সময় এই উপজেলা উন্নয়নের বদলে অবহেলিত হচ্ছে।
 খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ওই উপজেলায় জাতীয়পাটি (এরশাদ) সংসদ সংসদ শওকত চৌধুরীর নামে প্রথম পর্যায়ে টিআরের ৫০টি প্রকল্পে ২৫০ মেট্রিক টন,কাবিখার প্রথম পর্যায়ে ৬টি প্রকল্পে ২৫০ মেট্রিকটন, একই দলের নারী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আসন ৪৪ এর নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর নামে টিআরের ১৭ প্রকল্পের একশত মেট্রিক টন, কাবিখায় ৬টি প্রকল্পে একশত মেট্রিকটন, এই দলের অপর নারী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আসন ৪৬ এর মেরিনা রহমানের নামে কাবিখার ৬টি প্রকল্পের একশত মেট্রিকটন সহ সর্বমোট ৮০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পায়। অপর দিকে সাধারন টিআরে ৪৬টি প্রকল্পে  বরাদ্দ দেয়া হয় ১১৯ দশমিক ৯০১৫ ও কাবিখা সাধারনে ১১টি প্রকল্পে ১৩৬ দশমিক ৫৩৮৮ সহ ২৫৬ দশমিক ৪৪০৩ মেট্রিকটন চাল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায় প্রকল্পের বরাদ্দকৃত এই সকল চাল কো  উন্নয়নের কাজ না করে এক ধরনের প্রকাশ্যেই কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। মজার বিষয় এই সকল টিআর ও কাবিখা কাজের প্রকল্প চেয়ারম্যান যারা, তারা কিছুই জানেনা এসবের। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে জানায়  এমপি শওকত চৌধুরীর বরাদ্দকৃত চাল নিয়ন্ত্রন করে রেজাউল ইসলাম ফিলিপ। আর নারী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী ও মেরিনা রহমানের বরাদ্দকৃত চাল নিয়ন্ত্রন করে রফিক ইসলাম,আলতানুর রহমান আজাদ ও লুৎফর রহমান লুতু।
এলাকাবাসী জানায় ওই সিন্ডিকেট প্রকল্পের চাল গুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দিলে ক্রেতার পক্ষে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ট্রাকযোগে কয়েক দফায় ওই সকল চাল রংপুরের এক ব্যবসায়ীর গুদামে চলে যায় ।
এলাকাবাসী চাল পাচারের একটি ফিরিস্তি তুলে ধরে জানায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১৮৫ মেট্রিকটন, ২৬ জানুয়ারী ২৪০ মেট্রিকটন, ও ১ ফেব্রুয়ারী ১২৭ দশমিক ২৫০ মেট্রিক টন সহ মোট ৫৫২ দশমিক ২৫০ মেট্রিক টন  চাল ট্রাকে করে রংপুরে পাচার করা হয়। বাকী চাল গুলো পাচারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এক মসজিদ কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার সত্বে বলেন তাদের মসজিদ সংস্কারের জন্য সাড়ে ৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু  ওই সিন্ডিকেট তাদের সাড়ে মেট্রিক টন চাল না দিয়ে টাকা দিয়েছে মাত্র সাড়ে চার হাজার। যেখানে বাজারে এক মেট্রিকটন চাল সরকারি দরের মূল্য ৩৬ হাজার টাকারও বেশী। সে হিসাবে সাড়ে চার মেট্রিকটন চালের মুল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
তাই এলাকাবাসী সরকারের উন্নয়ন থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় এ জন্য এসবের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার পিআইওর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এ জেলার জলঢাকা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন। তার সাথে কথা বলা হলে  তিনি জানান চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রকল্প গুলোর কাজ সমাপ্ত করার শেষ দিন রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত দেখার পর কাজ না হলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6184352469294116642

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item