নীলফামারীতে বড়দিনের বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ

তাহমিন হক ববি॥
খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে সরকারের দেয়া ১৯ দশমিক ৭ মেট্রিকটন খয়রাতি চালের বরাদ্দ নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া নামে উত্তোলন করে  আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালনের আগের দিন ওই চাল উত্তোলন করে একটি চক্র কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে রবিবার বিভিন্ন খ্রীষ্টান পরিবার তাদের অংশের চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছে।
অভিযোগে জানানো হয় জলঢাকা উপজেলার খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের ১৯টি চার্চের বিপরিতে দুই হাজার ১১৭ পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে হিসাবে ১২ দশমিক ৬২০ মেট্রিকটন ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ৭টি চার্চের বিপরিতে ১ হাজার ১১৫ পরিবারের জন্য ৬ দশমিক ৪৫০ মেট্রিক টন জিআর  চাল বরাদ্দ দেয়া হয় স্ব-স্ব উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে। চালের পরিমান অনুযায়ী প্রতি খ্রীস্টান পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল প্রদানের নিয়মের ছিল।
অভিযোগ মতে জলঢাকা উপজেলায় মাইকেল মোশাররফ / মাইকেল বিশেশ্বরের নামে শৌলমারী ইউনিয়নের তোফায়েল মাষ্টার, বালাগ্রাম ইউনিয়নের লোকমান হোসেন, জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী মহল্লার মিজানুর রহমান  খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা সেজে জলঢাকার বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে  আতœসাত করেন।
অপর দিকে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বরাদ্দকৃত চাল  আতœসাত করেছে তিনজন খ্রিস্টান নেতা। অভিযোগমতে   পালক জননিবাস, পালক সুধীর হালদার ও পালক শরৎ বর্ম্মন বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে একই কায়দায় আত্মসাত করেন। গরীব দুস্থ্য খ্রীস্টান পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, তাদের বড়দিন উৎসব পালনের জন্য সরকারের বরাদ্দ দেয়া চাল তারা পাননি। তারা ঘটনাটি তদন্ত পুর্বক চাল আত্মসাতকারীদের বিচার দাবি করেছে।তবে যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তারা সকলে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3427388069597276033

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item